২৪ ঘণ্টায় ৩ হাসপাতালে করোনা টেস্ট : দুটিতে নেগেটিভ, একটিতে পজিটিভ (!)

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মাহবুবল ইসলাম। চার মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন তিনি। এরপর তিনি রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসায় অবস্থান করছেন। পূর্ব-নির্ধারিত ফ্লাইট অনুযায়ী রোববার (৪ জুলাই) ভোরে তার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাজধানীর দুই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে বাধে বিপত্তি। এক হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট আসে ‘পজিটিভ’। আবার আরেক হাসপাতালে তাকে ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট দেয়। পরে তিনি তৃতীয় দফায় করোনা পরীক্ষায় নমুনা দেন। তৃতীয় দফায়ও তার পরীক্ষার রেজাল্ট এসেছে ‘পজিটিভ’। চতুর্থ দফায় এ দুই হাসপাতালের বাইরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা দেন তিনি। সেখানে পরীক্ষায় তার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
রাজধানীর ‘স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড’ ও ‘পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড’ থেকে তার করোনা পরীক্ষার দুই রকম রিপোর্ট দেয়া হয়। পরে তিনি ‘বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-এ নমুনা দেন। সেখানে অবশ্য তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
জানা গেছে, শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় স্কয়ার হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন মাহবুবুল হক। সন্ধ্যা ৬টায় তাকে রিপোর্ট দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাতে তার করোনা পজিটিভ আসে। এর এক ঘণ্টা পরই মাহবুবুল পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষায় নমুনা দেন। আজ রোববার (৪ জুলাই) সকালে তারা রিপোর্ট দেন। তাতে রেজাল্ট আসে নেগেটিভ।
এদিকে, দুই হাসপাতালে দুই রকম রিপোর্ট আসার পর মাহবুবুল হক তৃতীয় একটি হাসপাতালে নমুনা দেন। রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষা করতে দেন তিনি। রাত ৮টার দিকে এই হাসপাতালের রিপোর্টে তার করোনা নেগেটিভ আসে।
মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে দুই হাসপাতালে দুই ধরনের রিপোর্টের বিষয়টি স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন তারা ফের পরীক্ষার জন্য নমুনা নেন। রাতে রেজাল্ট আবার পজিটিভ আসে। তিনি বলেন, ‘দুই হাসপাতালের বিপরীত রেজাল্টের কারণে আমি তৃতীয় একটি হাসপাতালে নমুনা দেই। বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায় আমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’
জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপক শেখ সুলতানা হক বলেন, ‘আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় করোনা নমুনা সংগ্রহ করেছি। সব ধরনের কোয়ালিটি মেইনটেইন করে পরীক্ষা করেছি। দু’টি পরীক্ষায়ই মাহবুবুল ইসলামের করোনা পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে।’
একই রকম দাবি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের বায়োটেকনোলজিস্ট মো. ইমদাদুর রহমানেরও। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষায় কোনো ত্রুটি নেই। যথাযথ পদ্ধতিতেই নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করা হয়েছে। উনার নমুনা পরীক্ষায় রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মাহবুবুল ইসলাম সবশেষ যে বসুন্ধরা মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রেজাল্ট পেয়েছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
সুত্র : জাগো নিউজ।