চরফ্যাশনে ৬০ ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দিলেন এমপি জ্যাকব
মাননীয় প্রধানমন্ত্যী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬০টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। রবিবার সকাল বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫৩ হাজার ঘর ভিডিও কনপারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর অসহায় পরিবারের মাঝে এই ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম দাপে ঘর দেয়ার পর ২য় দাপে চরফ্যাশনে ৬০টি ঘর দিয়েছেন। তার মধ্যে নীলকমল ৫০টি চরকুকরি মুকরি ৫টিসহ অন্যান্য ৪টি ইউনিয়নে ৫টিসহ মোট ৬০ পরিবারকে ভূমিহীণ ও গৃহহীনদেরকে ২শতাংশ দলিল দিয়ে নামজারী ও জামাখারিজ করে খতিয়ান তুলে দিয়েছেন।
তিনি পর্যটক এলাকা সম্পর্কে বলেন, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইতোমধ্যে কুকরি-মুকরিতে যোগাযোগ ও যাতায়াতের জন্য ইকোপার্ক, বন উৎপাদন ও গবেষনা কেন্দ্র, সমুদ্র দিক নির্ণয়ে লাইটিং হাউজ, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে জীব বৈচিত্র রক্ষায় অভয়ারন্য হরিন প্রজনন কেন্দ্র সাব-মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুকুরি-মুকরিতে জাতীয় গ্রীডের সাথে অন্তর্ভূক্ত করার কাজ চলছে। পর্র্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে আন্তর্জাতিক মানের আবাসন নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের এ সকল পরিকল্পনা বাড়ানো হলে সমুদ্রঘেষা নয়নাভিরাম ম্যানোগ্রোভ দ্বীপ কুকরি-মুকরি রুপান্তরিত হবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে।
জ্যাকব আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুকরি-মুকরি দ্বীপ। ১৯৭৩ সনে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্থ কুকরি মুকরিতে বঙ্গবন্ধু পরিদর্শনে এসে দ্বীপবাসীকে সুরক্ষায় বেড়ীবাধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি ঘাতকরা। তারই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বেড়ীবাঁধ নির্মানের ফলে প্রাকৃতিক জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পেয়েছেন কুকরিমুকরি।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীণ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ^াস প্রমুখ।