লালমোহনে চুরি হওয়া দুটি মহিষ উদ্ধার

ভোলার তজুমদ্দিন থেকে চুরি হওয়া দুটি মহিষ লালমোহন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (রবিবার) দুপুরে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চরমোল্লাজী গ্রামের ফয়েজ আহমদ বেপারীর কাছ থেকে মহিষ দুটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মহিষ দুটি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকার পাল বাড়ির হিমাংসু পালের। হিমাংসু পাল জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে গত মঙ্গলবার দুপুরে তার ৭টি মহিষের মধ্য থেকে দুটি মহিষ চুরি হয়। পরে তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হিমাংসু পালের স্ত্রী। এদিকে অভিযোগের সূত্র ধরে গতকাল (রবিবার) ওই মহিষ দুটি লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চরমোল্লাজী গ্রামের ফয়েজ আহমদ বেপারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। জানতে চাইলে ফয়েজ আহমদ বেপারী বলেন, রবিবার সকালে মহিষ দুটি তজুমদ্দিন উপজেলার খাসেরহাট বাজার এলাকার মিরাজ পাটোয়ারীর কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন। আর মিরাজ পাটোয়ারী জানান, প্রায় ৪/৫ দিন আগে স্থানীয় নজির মেম্বারের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন ওই দুটি মহিষ। এদিকে নজির মেম্বারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হিমাংসু পালের ভাই বাবুল পালের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকায় ওই দুটি মহিষ তার কাছে বিক্রি করেছে। বাবুল পালের সাথে আলাপকালে প্রথমে মহিষ দুটি নিজের দাবি করে বলেন, তার ভাই হিমাংসু পালের সাথে লেনদেন ছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ তা পরিশোধে নয়ছয় করায় মহিষ দুটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জিয়াউল হক বলেন, হিমাংসু পালের দুটি মহিষ তার ভাই বিক্রি করে ফেলেছে, এমন ঘটনায় হিমাংসুর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মহিষ দুটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে না জানিয়ে দিনেদুপুরে মহিষ বিক্রি করা চুরির শামিল বলে মনে করছেন সচেতনমহল। তাদের মতে, এভাবেই প্রতিনিয়ত গরু, মহিষ চুরি হচ্ছে। ধরা পড়লে নিজের লোক, ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলে চুরি। তাই অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন তারা। উল্লেখ্য, চলমান জুন মাসের মধ্যে লালমোহন উপজেলা থেকে ৮টি গরু চুরি হয়। তবে এখনো কোনো গরু উদ্ধার বা চোরচক্র আটকের ঘটনা ঘটেনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।