করোনায় আরো ৩০ জনের মৃত্যু
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭২৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫ হাজার ৯৮০ জনে। মৃত ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ৯ জন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩১টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ গত ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৭২৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬০ লাখ ২ হাজার ৯৯৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন ও রংপুর বিভাগে ৪ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন ও বাড়িতে ২ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮২৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ৩৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।