যা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত

ভোলায় শতভাগ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তায় রিমঝিম পিওর ড্রিংকিং ওয়াটারের যাত্রা শুরু

বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে শতভাগ নিশ্চয়তা নিয়ে ভোলায় রিমঝিম পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার নামে বিশুদ্ধ পানির যাত্রা শুরু। যা ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেলে এ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রথমেই ২০ কেজি ওজনের প্রতিটি ঝারে ৮০ গ্লাস পানির নিশ্চয়তায় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। যার প্রতি গ্লাস পানির মূল্য দাড়িয়েছে ৫০ পয়সা। ইতিমধ্যে এ পানি ভোলাতে বেশ সুনাম করেছে, বাড়ছে চাহিদাও।
গতকাল এ প্রতিবেদককে রিমঝিম পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার এর প্রকৌশলীরা বিএসটিআই এর অনুমোদিত মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করে শতভাগ নিশ্চয়তা দেন। পরীক্ষার জন্য প্রথমে স্থানীয় ১ গ্লাসে গভীর নলকূপের পানি এবং অন্য গ্লাসে রিমঝিম ওয়াটার। ৪০ সেকেন্ডে’র পরীক্ষার এক পর্যায়ে দেখা যায় স্থানীয় গভীর নলকূপের পানিটি লালচে হয়ে যায়। অন্যদিকে রিমঝিম পানির গ্লাসটি সাদা-ই থেকে যায়। যা শতভাগ বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।
এ প্রতিবেদক ভোলা শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে ঘুরে দেখেন বিভিন্ন অফিস এবং বাসা-বাড়ীতে এ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রাহক বলেন, আমরা স্থানীয় কলের পানি এবং রিমঝিম পানি পরীক্ষা করেছি, তাতে রিমঝিম পানি শতভাগ বিশুদ্ধ হয়েছে। যার কারণে আমিসহ আমার পুরো পরিবার এই পানি ব্যবহার করা শুরু করেছি।
রিমঝিম পানি’র বাজারজাত ও মানোন্নয়নে কোম্পানীর চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু ভোলার বাণীকে জানান, দু’বছর আগে আমি একটি সেমিনারে গেষ্ট অব অনার ছিলাম। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারী।  জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোক সহ বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলো। সেখানে প্রধান অতিথি আমাদেরকে বলেন, ভোলা জেলার গভীর নলকূপগুলো শতভাগ বিশুদ্ধ না। এখানে আর্সেনিক, আয়রন, সোডিয়াম, সিলিকন প্রচুর পরিমানে বিদ্যামন। সেই থেকে আমি মনে মনে নির্ধারন করেছি ভোলার জনসাধারণের জন্য শতভাগ পানি উৎপাদন এবং স্বল্পমূল্যে তা বিতরণ করবো।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত জমিতে রিমঝিম পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার প্লান্ট তৈরী করেছি। ২০ কেজি পানির একটি জার এর মূল্য ৪০টাকা নির্ধারণ করেছি। বর্তামানে আমাদের সার্ভিস টিম গ্রাহকের নির্ধারিত স্থানে পৌছে দিচ্ছে। পরবর্তিতে ফোন করার সাথে সাথে তার কাছে পানি পৌছে দেয়া হবে।
আব্দুল মমিন টুলু বলেন, আমরা প্রথমে পানি এবং ফিলটার ফ্রি দিয়েছি। এখন সামান্য কিছু মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। যাতে গ্রাহকের আগ্রহ থাকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ সব সময়-ই শতভাগ বিশুদ্ধ পানি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পৌছে দেয়া হবে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page