শতাব্দীর মহানায়ক অনন্য মুজিব : পর্ব-০৬

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : সেরনিয়াবাত একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত বড় আইনের লোক ছিলেন। তিনিও অসম্ভব বুদ্ধিমাত্তা িেদয়ে মন্ত্রিত্ব চালিয়ে ছিলেন। অতি ধীর, চিন্তাশীল লোক ছিলেন তিনি। দেখলে মনে হয় আভিজাত্যের সম্ভ্রমে সম্মোহিত। বঙ্গবন্ধুর কথা, বঙ্গবন্ধুর ফ্যামেলির কথা লিখতে গেলে আমার মত একজন সাধারণ লেখিকার অনেক জ্ঞানের দরকার। উদ্দেশ্যকারীরা তাদের নীল নকশা অনুযায়ী এসব জ্ঞানী ও ঝানু প্রখর রাজনীতির লোককে একেবারে চিরতরে সরিয়ে দিয়ে নিজেদের গদি দখলের জায়গা করে নিয়েছে।
আওয়ামীলীগের রাজনীতি চলছিল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অতি মন্থও গতিতে। সাড়া নেই, শব্দ নেই, যেন নায়ক হারা এক বিষাদসিন্ধু। চলায়, বলায়, কওয়ায়, হাঁটায়, সভা-সমিতিতে, রাজনীতিতে, নারী কল্যাণ, নারী দিবস, মাদার ক্লাব কোথায় না বঙ্গবন্ধুর নাম নেই। সেকেন্ডে সেকেন্ড, মিনিটে মিনিটে বঙ্গবন্ধুর কথা লোকের মুখে মুখে। আওয়ামীলীগের মুষ্টিমেয় লোকের ও নেতৃবৃন্দেও পরিচালনায় আওয়ামীলীগের শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে উদ্দাম গতিতে এগিয়ে চলছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম মোঃ জিল্লুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিল, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদসহ অনেকেই।
শেখ হাসিনা এল এক মুক্তির দূত হয়ে। সেদিন বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে, নগরে-পল্লীতে, গ্রামে-গঞ্জে, জিলা-মহকুমা, থানা, শাখা-প্রশাখা থেকে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে লাখো লাখো যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়সী, বৃদ্ধা লাখো লাখো বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য শুধু এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিল। আমার সেদিন দূর দেশে বসেও আনন্দে চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে পড়েছিল বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার প্রতি, দেশের জনসাধারণের ভালবাসা দেখে। ধন্য বঙ্গবন্ধু, ধন্য শেখ হাসিনা।
তখন আমার বার বার মনে হয়েছিল এত লাখো লাখো লোক বঙ্গবন্ধু ও তার মেয়েকে ভালবাসে, তবে কেন সেদিন ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করল, কেন ? লাখো লাখো লোক ষড়যন্ত্রকারীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল না কেন ? কেন নীরবে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল ? কেন তারা সিরাজ-উদ-দৌলার পলাশীর যুদ্ধ ক্ষেত্রের মত নীরব নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরাজয় স্বীকার করে নিল ? একা গোলাম হোসেন কি করবে ? লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসে। বার বার মনকে প্রশ্ন করি, কেন ? কেন ? মন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে আসে হে নুতন পৃথিবী দাও। এবার বেরিয়ে আসুক বঙ্গবন্ধুর নবীন সৈনিক, তাদের গায়ে লোহার বর্ম, হাতে সোনার তরবারী, মন দৃঢ়তর শক্ত লোহার বাঁধনে বদ্ধপরিকর আর নয়, এবার দেশের পঙ্কিলতা দূর করে হাজার হাজার, লাখো লাখো, যুবক-যুবতী আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায় রাজনীতির মাঝে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের দেশের ন্যায়-নীতির রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করে সুষ্ঠু সরল রাজনীতির জন্ম দেবে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বলে টিভিতে, রেডিওতে, গ্রামে-গঞ্জে, নগরে-পল্লীতে ঘোষণা দেবে।

 

(চলবে——–)

আরও পড়ুন

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page