ভোলার ধনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

ভোলার ধনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের লোকজন আহত হয়। আহত সকলকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গত ১৯/০৫/২১ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটের সময় বশার গ্রুপের কাছে ঈদের গরু জবাইয়ের মাংশ বিক্রির টাকা মিজান গ্রুপরা চাওয়াতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। কথা কাটির একপর্য়ায় বশার গ্রুপের সাথে মিজান গ্রুপের সাথে সংঘর্ষ বাধে।
এতে প্রতিপক্ষ গ্রুপ মিজান, গিয়াস, রুবেল, শরিফ, মোহাম্মদ আলি, সুমন, নাঈম, বাচ্ছু, বাবুলদের দাড়ালো দা, লাঠি, সোডার হামলায় গুরতর আহত হন হাসান আলির ছেলে বশার, কাশেম, হাফসা, বিবি মরিয়ম, আলাউদ্দিন, আমিন গংরা। আহতদের বশার গ্রুপদের হাত থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এদিকে আহত বশার জানান, ঈদ আমাদের নবীপুরে গরু জবাই মিজান গংরা সেখান থেকে আমরা মাংশ কিনি সেই মাংশের টাকা কিছু বাকি ছিলো বলেছি ঈদের পরদিন দিবো। তাই মাংশের টাকা পরিশোদ করতে একটু দেরি হওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে মিজান ও গিয়াস গংরা আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা লাঠি সোডা নিয়ে দৌড়ে এসে আমার উপর হামলা করে আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার স্বজনেরা দৌড়ে আসলে তাদেরকে ও লাঠি সোডা দিয়ে ব্যাপক ভাবে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে দেয় পরে আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করান। আহতের স্বজনরা জানান আমরা দায়ের করবো। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিপক্ষের লোকজন জানান আমাদের পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে খারাপ ভাষায় কথা বলায় এই সংঘর্ষ হয়। তারা জানান আমরা ও আহত হয়েছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমাকে মারা মারির বিষযটি দুই গ্রুপের লোকজন-ই জানিয়েছে। আমি তাদের সুস্থ্য হয়ে আসতে বলেছি। সুস্থ্য হয়ে আসলে দুই পক্ষ কে বসিয়ে সুষ্ঠ সমাধান করার চেস্টা করবো।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, দুই পক্ষের লোকজন অভিযোগ করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসআই ইমাম হোসেন কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষ যারা আহত বেশি হয়েছে তাদের পক্ষ হয়ে পুলিশ দুষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।