লালমোহনে বয়োবৃদ্ধ পঙ্গু আবুল কালাম যেকোন ভাঁতার দাবী করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে!

ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বচরউমেদ গ্রামের (আজাহার রোডের পশ্চিম মাথা) আব্দুর রব মিয়া বাড়ীর পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ সাত সন্তানের জনক ষাটোর্ধ দারিদ্র আবুল কালামের দিন কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। সহায় সম্বলহীন দারিদ্রতার করালগ্রাসে দিনাতিপাত করছেন তিনি।

২ ছেলে, ৫ মেয়ের জনক আবুল কালাম এক সময় চট্টগ্রাম নির্মান শ্রমিকের লেবার হিসেবে কাজ করতেন, গত প্রায় ২০বছর আগে লেবারের কাজ করতে গিয়ে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়, আঘাত পায় ডান চোখে । চিকিৎসাকরে ও ফিরে পায়নি তার ডান চোখ। নষ্ট হয়ে যায় চোখটি। এর পর মরার উপর খাঁড়ার ঘা” কিছু দিন যেতে না যেতে এ দারিদ্র মানুষটির প্যারালাইসিস রোগ দেখা দেয় চিকিৎসার খরচ যোগাতে সহায় সম্বল (ঘর ভিটা ব্যতীত) সব বিক্রি করে দিয়েছেন। তার পর ও নিস্তার হয়নি। বাম পা সম্পূর্ণ পঙ্গু হয়ে যায়। দারিদ্র আবুল কালাম ধার-দেনা করে অনেক কষ্টে তার ৫ মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। দু’ ছেলের একজন আলাদা আর এক ছেলে কে নিয়ে কাটাচ্ছেন কষ্টের জীবন। পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ আবুল কালাম বলেন, আমার একটি ভাঁতার কার্ড ছিল তাও বয়সের মারপ্যাঁচে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এখন আমি একটি পঙ্গু ভাঁতার দাবী করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।

এ বিষয়ে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, আমাকে ওনার ব্যাপারে কেউ বলেনি, সুযোগ আসলে আমি তার নামে পঙ্গু ভাঁতার কার্ড করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: মামুন বলেন, উনি অফিসে এসে সূবর্ন নাগরিক কার্ড করতেহবে,তার পর জরিপ ফরম পূরন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।