দৌলতখানে ৫০শয্যার হাসপাতালে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া রোগী

তীব্র গরমে হঠাৎ করে ভোলার দৌলতখানে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
সাধারণ রোগীসহ ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বাড়লেও তাদের সঠিক ভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পিয়াস কান্তি সাহা। তিনি জানান, ‘৫০শয্যার হাসপাতালে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন । এতে তাঁরা রোগীর চাপে হিমসিমে পরছেন।
শনিবার দৌলতখানের ৫০ শয্যার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। শয্যা সংকট থাকায় হাসপাতালের মেঝেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে এসব রোগীদের। ৫০ শয্যার হাসপাতালে শয্যা ও বেডের অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ছাড়াই অক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেত। হাসপতালে ডায়রিয়ার ১১টি শয্যা থাকলেও বর্তমানে রোগীর চাপে বিভিন্ন শয্যায় তাদেরকে চিকিৎসা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে দীর্ঘদিনের । এর মধ্যে প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ ডায়েরীয়া আক্রান্ত হওয়ায় রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। প্রয়োজনের তুলনায় বেড কম থাকায় মেঝে থেকেই চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। বর্তমানে দৌলতখানে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী , ‘গত কয়েকদিনে ৫০০ থেকে ৬০০জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী জানান , ‘বেড না পেয়ে মেঝে থেকেই তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্য অনেককে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।
সাধারণ রোগীসহ ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বাড়লেও তাদের সঠিক ভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পিয়াস কান্তি সাহা। তিনি জানান, ‘৫০শয্যার হাসপাতালে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন । এতে তাঁরা রোগীর চাপে হিমসিমে পরছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, ‘নির্ধারিত শয্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । তবে সকল রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে । তিনি জানান ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।