লালমোহনে গাছ রোপনে বাঁধা দেয়ায় বয়োবৃদ্ধ নারীকে পিটিয়ে আহত

ভোলার লালমোহনে নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক গাছ লাগানোর ব্যাপারে বাধা দেয়ায় বয়োবৃদ্ধ হনুফা বিবি (৮০) নারীকে পিটিতে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হনুফা বিবির পুত্রবধু মনি জানান, আমার শ্বশুরের ৫ ছেলে তারা কেহ বাড়ীতে থাকে না। ৪ ছেলে বিদেশে থাকে ১ ছেলে ঢাকাতে থাকে। আমার শাশুড়ী ও আমরা পুত্রবধুরা বাড়ীতে থাকি। আমাদের বাড়ী বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ফজলু চেয়ারম্যান এর বাড়ীর পাশে মৃত হারিছ আহমেদ বাড়ী। আমার শ্বশুর হারেছ আহমেদ জীবিত থাকা অবস্থায় এলাকার ইউনুছের বাবার কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয় করার পর দীর্ঘ প্রায় ৩০/৩৫ বছর যাবত আমরা জমি ভোগ দখল করে আসছি। আমার শ্বশুর হারেছ আহমেদ প্রায় ২০ বছর আগে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর হারেছ আহমেদ ও তার ৫ ছেলে উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ এলাকার ইউনুছ ও তার ভাইরা এই জমি তাদের বলে দাবী করে। আমি আমার স্বামীসহ অনান্যেরদেরকে মোবাইলে ঘটনা জানালে তারা ইউনুছগং দের কে বলেছে আমরা বাড়ীতে আসি। কাগজপত্র দেখে এবং মাপজোপ করে যদি আপনারা জমি পান তাহলে আমরা আপনাদেরকে জমি দিয়ে দিব।
হঠাৎ ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সকালে ইউনুছগংরা আমাদের জমিতে গাছ লাগানো শুরু করে। আমার বয়োবৃদ্ধ শাশুড়ী তাদেরকে গাছ লাগাতে নিষেধ করলে ইউনুফ, ইমরানসহ কয়েকজন মিলে আমার শাশুড়ীকে বেদম মারধর করে। শাশুড়ীর চিৎকার শুনে আমরা মহিলারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শাশুড়ীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দ্রুত লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমাদের বাড়ীতে কোন পুরুষ না থাকায় ইউনুছগংরা আমাদের সাথে জোরজুলুম করছে।
হনুফা বিবির পুত্রবধু মনি আরও বলেন, ইউনুছগংরা এলাকায় জুলুমবাজ হিসাবে পরিচিত। তারা ৮০ বছরের বৃদ্ধের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করেনি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার শাশুড়ীর গায়ে যারা হাত দিয়েছে তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।