ভোলার ভেদুরিয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ॥ আহত-২০

ভোলার ভেদুরিয়া ব্যাংকে হাটে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতে তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতরা সবাই চর ভেদুরিয়া ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে চর ভেদুরিয়া ৬ নং ওয়ার্ডের বাইতুল হেরা নতুন জামে মসজিদের পাশে মাগরিব নামাজের পরে।
ঘটনাসুত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষে জামাল ও রফিজল গংরা নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হয়। বের হওয়ার পর হেফাজত ইস্যু নিয়ে দুই জনের মাঝে কথা কাটা কাটি হয়। কথা কাটা কাঠির এক পর্যায় রহিজল, জামাল কে বলে উঠে হেফাজতের নেতা মামুনুল হক কে সরকার বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নিয়েছে এবং লকডাউনের নামে তামাশা করছে আমরা ঠিকমত বাসা বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। সরকার বেশি বাড়া-বাড়ি করতেছে, বেশি বাড়া ভালো না বলে দুই জনের সংগে কথা কাটা কাটি চরম পর্যায়ে গেলে দুই গ্রুপের জামাল গং আর রফিজল গংদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।

এক পর্যায় আবু ছাইদ তুইন মাঝির নেতৃত্বে আশা রহিজল গংরা লাঠি সোডা নিয়ে এসে নলি মিয়ার লোকজন জামাল গংদের লাঠি সোডা ও দড়ালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এর ভিতর বিএনপির তুহিন মাঝির নেতৃত্বে আসা রফিজল মাঝি গংরা মারা মারি করতে আসলে তারা তাদের লোাকজন দ্বারা আহত হয়েছেন বলে জানান জামাল গংরা।
এদিকে নলী মিয়ার ছেলে জুয়েল বলেন, আমাদের বিএনপি-হেফাজতের লোকজন যে ভাবে লাঠি সোডা ও ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে যে ধাওয়া করছে তা চোখে না দেখলে বুজা যাবে না হেফাজত ও বিএনপি কতটা উগ্রপন্থি। তারা আমাদের ১০ জন কে পিটিয়ে জখম করেছে। আহতরা হলেন- আবাদুস ছাত্তারের ছেলে সহিদ (৪৫) আব্দুল আজিজ এর ছেলে মোঃ রিপন (৪০) তামিম, আব্দুর রাজ্জাক, হাসান, নুরুদ্দিন, নীরব, ইউসুফ, সেতারা বেগম (৫৫) এরা সকলেই গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
অপর দিকে তুহিন মাঝি জানান, ভাই আমি কিছুই বলতে পারি না, কিসের থেকে কি হইছে। সুস্থ্য হয়ে পরে বলবো আমাদের অনেকে হাসপাতালে ভর্তি, তাদের একটু খবর লন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ দেখি মসজিদের পাশে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। কি নিয়ে মারা মারি হয়েছে তা এখনো জানি না, তবে যেতুটুকু জেনেছি তারা নাকি আত্মীয়-স্বজন। তবে তাদের মধ্যে তফাৎ তারা দুই গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন দল করে। কেউ আ’লীগ, আবার কেউ বিএনপি। তাদের ভিতর দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাস্টার জানান, হেফাজত ইস্যু নিয়ে বাক বিতন্ডা হইছে কি না আমি জানি না। তবে সন্ধ্যার সময় দুই ভাইর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর কতক্ষন পরেই শুনি দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে মারা মারি’র খবর। এ ঘটনায় আহতদের নাকি ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, মারা মারির খবর শুনেছি, তারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তবে দুই গ্রুপের কেউ-ই এখনো পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।