ভোলার উত্তর দিঘলদীতে দেবর কর্তৃক ভাবি নির্যাতনের শিকার

ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে সাবেক সেন্য সদস্য দেবর েেসলিম কর্তৃক বড় ভাই’র স্ত্রী ভাবি রাজিয়া বেগম নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। গত সোমবার ১৯/০৪/২১ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১.০০ ঘটিকার সময় উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গৌরিন্দা বাড়িতে বজলুর রজমানের স্ত্রী রাজিয়া বেগম দেবর সেলিম এর কাছে পাওনা টাকা চাওযাতে একে অন্যর সাথে বাক বিতন্ডা ও হাতা হাতির ঘটনা ঘটে। হাতা-হাতির এক পর্যায় দেবর ও নন কর্তৃক বড় ভাই’র স্ত্রী ভাবিকে তার সাথে থাকা রান্না ঘর থেকে মরিচের গুরা ও লবন এনে উঠানে শুয়ায়ে চোখের ভিতর মরিচের গুরা দিয়ে আঙুল দিয়ে চোখ মুখে নাড়া দেয় ও কিল ঘুষি মেরে মুখ মন্ডল ফুলিয়ে রক্তাক্ত তাকে উঠানে ফেলে দেয়। পরে বড় ভাই ও তার ছেলেরা তার স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে আসলে তাদের সাথে ও লাঠি সোডা নিয়ে ধাওয়া ও পালটা ধাওয়া হয়। স্থানীয়রা রাজিয়া বেগম এর অবস্থা খারাপ দেখায় তাকে দ্রত ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। আহত রাজিয়া বেগম ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত রাজিয়া বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি স্বামি বজলুর রহমান তিনি সংসারের বড় ছেলে তাই আমাদের সংসারে একসময় অনেক অভাব অনটন দেখা গিয়াছে তখন আমার স্বামি সৌদি আরব যায় সেখানে যাওয়ার পর আমার এক এক সংসারে থাকা সকল দেবর কে বিদেশে নিয়ে যান তার টাকা খরচ। তাদের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কারনে তার অনেক টাকা ধার দেনা করে পাঠাইতে হইছে। সেই বিদেশগামী ভাইরা বলেছে তারা বিদেশ গিয়ে টাকা পরিষদ করবে কিন্তু সেই টাকা চাইতে যাওয়ায় আমাকে আমার দেবর সেলিম ও তার দুই ছেলে আমার ননোন আসমা এসে চোখে মুখে মরিচের গুরা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে বেহুস করে ঘরে থাকা আলমারি ভেঙ্গে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ভাই আমি এই পর্যন্ত জানি আর কিছু জানি না।
এদিকে বজলুর রহমান জানান আমার স্ত্রীর উপর হামলার কথা শুনে আমি আমার গরুর ফার্ম থেকে দৌড়ে এসে দেখি আমার স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে চোখে মুখে মরিচের গুরা লাগিয়ে দিয়ে উঠানে ফেলে রেখেছে। আমি জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমাকে ও কির ঘুষি মারে আমার ছোট ভাই সাবেক সেনা সদস্য সেলিম ও তার দুই ছেলেরা। অপর দিকে সেলিম জানান আমাকে কাড়র দিছে তাই বাচতে গিয়ে আমি এই কান্ড করেছি এছাড়া আমার কোন বিকল্প পথ ছিলো না।
টাকার পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, টাকা পাবে কিন্তু আমার ছোট ভাই বলছে তা পরিষদ করছে কিন্ত সে দেশে না আশা ছাড়া প্রমান কিভাবে করবো ভাই বলেন। কহিনুর জানান, আমাকে গালমন্দ করছে তাই আমি ও করছি কিন্তু মারিনী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা পাওনা টাকা উদ্ধার ও আমাদের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করে ঘরের মালা মাল লুট করেছে তাই আমরা মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমাকে এ ব্যাপরে কেউ জানাননি জানালে আমি মিমাংসা করে দেওয়ার চেস্টা করবো যেহেতু তারা নিজেরা নিজেরাই।