ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে না খেয়ে দিন কাটছে রাজাপুরের ইউনুসের পরিবার, থাকেন টংঘরে 

ছোট ছোট ৫ ছেলে মেয়ে ও অসুস্থ্য স্ত্রী নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের দরিদ্র জেলে ইউনুস জমাদার এর। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ইউনুস জমাদারের এই করুণ দৃশ্য। হাতে ক্যানালা গাঁথা অবস্থায় ছোট ঘরে শুয়ে আছে স্ত্রী জেসমিন এবং দুই পাশে অসুস্থ হয়ে শুয়ে আসে বড় দুই সন্তান। পাশে বসেই নিরবে চোঁখের পানি পালাচ্ছেন ইউনুস জমাদার। রাস্তার পাশে ছোট একটি টংঘর তুলে অনাহারে অধাহারে এই ভাবেই  দিনকাটছে তার।
কথা হয় ইউনুস জমাদারের সাথে, দুচোখের পানি পালাচ্ছেন আর কথা বলছেন এই প্রতিবেদকের সাথে, জন্মস্থান এই রাজাপুরে কিন্তু যখন ভোটার হালনাগাদ হয় তখন জীবিকার তাগিদে চাঁদপুর ছিলেন, সেখানেই হয়েছেন ভোটার।
এর পর চলে আসেন রাজাপুরে, গরীব মানুষ, ভোটার কার্ড পরিবর্তন করার জন্য কেউ সহযোগীতা বা পরামর্শ দেইনি আর সেই অযুহাত দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।
নদীতে বাড়ী ভেঙ্গে যাওয়ার পর একটি গোয়াল ঘরের মত টংঘর উঠিয়ে সেখানে থাকেন পরিবারসহ, পেশায় জেলে ছিলেন কিন্তু চোঁখে দেখে না ঠিক মত, তাই আগের মত পেশাগত কাজে যেতে পারে না আর এখন নদীতে অভিযান এবং লকডাউন সব মিলিয়ে না খেয়ে দিনকাটছে। এর মধ্যে দুই ছেলের ডায়রিয়া হয় তাদের কিছুটা সুস্থ করে বাসায় নিলে আবার স্ত্রীর শুরু, দুইদিন স্ত্রী কে হাসপাতাল রেখে হাতের ক্যানালাসহ বাসায় নিয়ে আসছে ইউনুস মোল্লা।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, রমজানে যে দু’মুঠো ভাত খেয়ে রোজা থাকবো সেই সামর্থ্য আমার নাই।
সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগীতার জন্য আকুতি জানান তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।