লালমোহনে ডায়রিয়ার স্যালাইনের অতিরিক্ত দাম রাখায় দুই ফার্মেসীকে জরিমানা

ভোলার লালমোহনে প্রচন্ড গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমোহন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন সুযোগে ডায়রিয়ার সিএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় ফার্মেসীগুলো। ফলে অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে স্যালাইন ক্রয় করতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।
রবিবার দুপুরে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লালমোহন বাজারের ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডায়রিয়ার স্যালাইন অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির দায়ে হাসপাতাল সংলগ্ন ফাতেমা মেডিকল হল কে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং উত্তর বাজার মসজিদ সংলগ্ন আমিন মেডিকেল হলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। একই সাথে প্রতিটি ফার্মেসীকে ন্যায্য মূল্যে ঔষধ বিক্রির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনা প্রদানে কেমিষ্ট সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ঝন্টু পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেয়া হয়।
অভিযান সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডায়রিয়ার স্যালাইনের অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে ফার্মেসীগুলো। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এধরণের অপকর্ম বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও আল নোমান।
লালমোহন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মহসিন খান জানান, প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ডায়েরিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১৫ জন ডায়েরিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে অন্যান্য রোগীদেরই জায়গা হয় না, তার উপর ডায়েরিয়া রোগীদের চাপে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের অবস্থা জবু-থবু। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় নিজস্ব বাসা বাড়িতেও বহু ডায়েরিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ ডায়েরিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় কলেরা স্যালাইন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় অধিকাংশ রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে বলে জানান। বাইরে ফার্মেসীতে এ স্যালাইন ৪ শত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কয়েকজন ফার্মেসী মালিক জানান, কলেরা স্যালাইন সরবরাহ নেই। কোন কোম্পানিই দিতে পারছে না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।