সর্বশেষঃ

তজুমদ্দিনে বসত বাড়িতে বাড়ছে চুরির ঘটনা

ভোলার তজুমদ্দিনে গত এক মাস ধরে রাতের অধারে ঘরের মধ্যে নেশা জাতীয়দ্রব্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বসত বাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা। হঠাৎ করে কয়েকটি চুরির ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কালাশা গ্রামের রুহুল আমিন মাষ্টারের বাসার সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাতের কোন এক সময় অজ্ঞাতনামা চোরের বাহির থেকে ঘরের ভিতরে স্প্রে’র মাধ্যমে নেশা জাতীয়দ্রব্য স্প্রে করলে ঘরের সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে ডুকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ৭/৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১০ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। পরে সকাল বেলায় রিজিয়ার বোন ইয়াছমিন বেগম এসে এ অবস্থা দেখে ডাক চিৎকার দিলে পাশ্ববর্তী লোকজন আসলে ঘটনার জানাজানি হয়। অচেতনরা হলেন, আলহাজ্ব রুহুল আমিন হাওলাদার (৭৫), রিজিয়া বেগম (৭০), হাফসা বেগম (৩০) ও সাইফা (১০)। করোনার কারণে অচেতনদের হাসাপাতালে না এনে বাসায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মাজেদ মিয়ার মেয়ে নাজমা বেগম বলেন, গত ২ এপ্রিল দিবগত রাতে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ১ বরি স্বর্ণ ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোরেরা। এসময় তার ভাই জাহাঙ্গির ও রাজ মেস্তুরী কবির অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাদের বাড়িতেই চিকিৎসা করানো হয়।
গত ১৪ মার্চ দিবগত রাতে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের করিম উদ্দিনের ঘরে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর যখম করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় বেল্লাল, আছুরা, সজিব, রোমানা ও দুষ্কৃতিকারীদের কোপে আহত ছকিনাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, অপরাদ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বিগত কয়েকবছর পূর্বেও তজুমদ্দিনে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। চুরির ঘটনাগুলো আমরা তদন্ত করছি এবং সন্দিহান লোকগুলোকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।