সর্বশেষঃ

বোরহানউদ্দিনে কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে লকডাউন

বৈশ্বিক করোনার হিংস্র থাবার কারণে গোটা পৃথিবী এক অন্ধকার, বিভীষিকাময় পরিবেশে উপনীত হয়, অগণিত মৃত্যু, অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে যা কেটে উঠতে আরো অনেক গুলো বছর অপেক্ষা করতে হবে নতুন প্রজন্মকে। আর এর থেকে রেহাই পাই নাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে লোকসান গুনতে হয় দেশের তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের ব্যাবসায়ীগণ।
করোনা প্রতিরোধে, আক্রান্তের হার কমাতে সরকার লকডাউনসহ, দোকানপাট, শপিংমল, অফিস আদালত, গণ-পরিবহন বন্ধ সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অসহায়, নিন্মবিত্ত, মধ্যেবিত্ত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ/খাদ্যসামগ্রী পৌছেয়ে দেওয়া হয়।


এবছর দেশের করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের প্রথমদিন ছিল আজ সোমবার (৫ এপ্রিল)। আজ অন্যান্য দিনের মতো চিরচেনা অবস্থা না দেখা গেলেও ভোলার বোরহানউদ্দিনের পৌর বাজারের প্রধান সড়কে ও ভোলা-টু-চরফ্যাশন প্রধান সড়কে বাস ছাঢ়া ছোট ছোট গণপরিবহন যেমনঃ সিএনজি, অটোরিক্সা, জরুরি সেবামূলক পরিবহন হালকা পাতলা পরিসরে চলাচল করেছে। আর সেই সঙ্গে সড়কে সামান্য কিছু মানুষও দেখা গেছে। কেউ প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন, আবার কেউ জীবন-জীবিকার তাগিদে। তবে গণপরিবহনের চাপ কম থাকায় কাউকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। অন্যান্য দিন সকালে রাস্তায় অফিসগামী যাত্রীদের চাপ থাকলেও সেরকম কিছু দেখা যায়নি আজ।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী ও মনিটরিং, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র লক্ষ করা যায় পৌর শহেরর বিভিন্ন সড়ক ও আশপশ এলাকায়। পৌরশহরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তাছাড়া লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা ছিল এবং কাঁচাবাজারেও মানুষের কিছু সমাগম দেখা গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।