কিন্তু আসল রহস্য অধরাই থেকে গেল ?

অবশেষে দৌলতখানের ইউএনও কাওসার বদলী

ভোলার বাণীতে গত ১৪ মার্চ-২০২১ইং তারিখে “পঞ্চম দিনেও থামছেনা মানুষের ক্ষোভ ॥ দাবী একটাই ইউএনও’র অপসারন” শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ভোলার দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাওসার হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সহকারী কমিশনার রিফাত আরা মৌরি স্বাক্ষতির এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। ইউএনও’র বদিলতে স্থানীয় মেম্বার সংগঠন ও জনগণের মাঝে চলমান ক্ষোভ আর হতাশার অবসান হয়।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল কথা দিয়ে কথা রাখলেন। তিনি বলেছিলেন প্রশাসন ও জনগণের মাঝে আস্থার কোন ঘাটতি না হয়, সেই ব্যবস্থা করবো। করেছেনও তাই। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেটা ভেবেছিলেন, সেটার কোন সুরাহা হয়নি। অনেকের-ই দাবী ছিল এই আন্দোলনের সাথে স্থানীয় চোরাকারবারী ও অসৎ মাছ ব্যবসায়ীদের যোগসূত্র আছে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আন্দোলন চালিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। কাওসারের বদলি খবর শুনে বিক্ষোভকারীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সূত্রে জানা যায়, কাওসার হোসেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অনেকটাই কোনঠাসা ছিলেন চোরাকারবারীরা। তার বদলিতে অধরাই থেকে যায় মূল রহস্য। কাওসার হোসেন তার অবস্থানে অনড় থাকেন। তিনি বলেন, আমতলি কেন; দেশের যে কোন উপজেলায় বা যে কোন জায়গায় আমাকে পাঠালে কিংবা দায়িত্ব দিলে আমি সততার সহিত সেই দায়িত্ব পালন করবো। অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ করবো না।
উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ ইউএনও কাওসার হোসেন কর্তৃক ভবানীপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন-কে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উত্তাল হয় দৌলতখানবাসী। তার পরের দিন চরখলিফা ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ আলীকেও লাঞ্চিত করা হয়। এর প্রতিবাদে দৌলতখানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। সকল কিছুর অবসান হলো ইউএনও’র বদলির মাধ্যমে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।