তজুমদ্দিনে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ভোলার তজুমদ্দিনে র‌্যালী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেককাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন “ইউনেস্কোর মেমোরী অব দ্য” ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার-এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভ করায় এবারে দিবসটি পালনে গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল ভিন্ন রকম।
রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুরু করা হয় কর্মসূচী। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা’র নেতৃত্বে র‌্যালী বের হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিকালে ওসি এসএম জিয়াউল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্নয়ে র‌্যালী বের হয়। এরপর থানা কমপ্লেক্সে কেককেটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনিক ভবন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। এসময় বক্তারা বলেন, ৪৮ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষনটি দিয়েছিলেন। এমন এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্সে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষন প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের। ১০ লক্ষাধীক লোকের সামনে পাকিস্তানী দস্যুদের কামান- বন্দুক- মেশিনগানের হুমকির মুখে সামরিক কর্তৃপক্ষ কে চারটি শর্ত দিয়ে ভাষনের শেষাংশে বজ্রকন্ঠে ঘোষনা করেন “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা।
অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার, ফাতেমা বেগম সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল্যাহ কিরন, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন প্রমুখ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।