সর্বশেষঃ

সিএমপির ‘মানবিক ইউনিট’ থেকে আলোচিত কনষ্টেবল শওকতকে বদলি

চট্টগ্রামে রাস্তায় পড়ে থাকা স্বজনহীন অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আলোচিত কনস্টেবল শওকত হোসেনকে ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ থেকে বদলি করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিয়ে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। এরপরই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ থেকে হঠাৎ বদলি করা হয় কনস্টেবল শওকতকে। যদিও মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা একে নিয়মিত বদলির অংশ বলছেন।
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) আমির জাফর জানানন, কনস্টেবল শওকত দীর্ঘদিন এক জায়গায় ছিলেন। তাই নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে তাকে মানবিক পুলিশ ইউনিট থেকে নগরীর বন্দর জোনে বদলি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন নীরবে কাজ করার পর ২০১৯ সালে ২৯ নভেম্বর মহানগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কনস্টেবল শওকতসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মানবিক সেবার বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। তার বক্তব্য শুনে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান ‘মানবিক পুলিশ ইউনিট’ নামে পুলিশে একটি ইউনিট চালু করেন। এ ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন শওকত। তারা রাস্তায় স্বজনহীন কোনো অসুস্থ মানুষ পড়ে থাকার খবর পেলেই ছুটে যেতেন। তাদের চিকিৎসা, খাবারের ব্যবস্থাসহ সকল কিছুর ব্যবস্থা করতেন তারা। মানবিক পুলিশ ইউনিটের এ কাজগুলো সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে কনস্টেবল শওকতও আলোচনায় আসেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে অতিথি করা হয় শওকতকে। সেখানে গিয়ে শওকত অসহায় মানুষদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সারাদিন ওয়াজ শুনেও কোনো লাভ নেই, যদি আমরা সবাইকে মানবিক না হই। আমাদের মানবিক হতে হবে। সেখানে আরও কিছু বক্তব্য তিনি দেন, যা নিয়ে চারদিকে বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই তার বদলি হলো।
কনস্টেবল শওকত বলেন, মানবিক ইউনিট থেকে বদলি করার পর বন্দর জোনে বুধবার যোগদান করেছি। যেখানেই থাকি অসহায় মানুষের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।