ভোলায় পরকিয়া প্রেমে পড়ে স্বামী কে তালাক অতঃপর নতুন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

অবুঝ দুই কন্যা সন্তান রেখেই পরকিয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হয় লিনজা বেগম ফাতেমা।। ফাইল ছবি

ভোলা সদর উপজেলার পৌর সভার আওতাধীন আবহাওয়া অফিস রোড এলাকার দুই সন্তানের জননী লিজা আক্তার ফাতেমার বিরুদ্ধে প্রথম স্বামী কে তালাক দিয়ে নতুন করে সেই স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লিখিত বক্তব্য লিজা আক্তার ফাতেমার সাবেক স্বামী একটি বেসরকারি  ব্যাংকে কর্মরত আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমার সাথে ১৭জুলাই -২০০৯ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আবহাওয়া অফিস রোড বাসিন্দা হারুনার রশিদ এর মেয়ে লিজা আক্তার ফাতেমার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর থেকে ভালো ভাবেই কেটেছে আমাদের সংসার।
আমাদের দাম্পত্যজীবনে মোয়ানা ও মিলিছা নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
হঠাৎ আমার স্ত্রী লিনজা বেগম ফাতেমা আমার অফিসের সহকর্মী মোঃ মহসিন (আইডি নং- ৫০০৩) এর সাথে মোবাইলে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে, আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে দুইজনের কললিস্টের মাধ্যমে সত্যতা পায়।
আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলেই শেষ হইনি এক পর্যায়ে পরকিয়া প্রেমিক মহসিন এর সাথে ভোলা এশিয়া হোটেলে থাকেন, যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এর মাধ্যমে আমি নিশ্চিত হয়।
এক পর্যায় আমার সন্তানদের রেখে পরকিয়া প্রেমিক মহসিন এর হাত ধরে পালিয়ে যান আমার স্ত্রী। পালিয়ে গিয়ে আমার স্ত্রী নিজেই আমাকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে গত ৩-১২-২০২০ তারিখে তালাক দিয়েছেন আমাকে।
তালাকের পর আমার স্ত্রী তার কাবিন হিসেবে টাকা তার বাবার মাধ্যমে বুঝে নিয়েছেন।
আমার স্ত্রী যখন আমাকে তালাক দিয়ে তার পরকিয়া প্রেমিক নিয়ে সুখে ছিলো আমি তখন আমার অবুঝ দুই কন্যা সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছি হঠাৎ নতুন করে আমার সংসারে আশার জন্য নাকি আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার জন্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে লিনজা ও তার পরিবার।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আরো বলেন, আমার কাছে আমার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিকের সাথে কথোপকথন এর কললিষ্ট এবং নোটারী পাবলিক কর্তৃক দেওয়া তালাকনামাসহ সকল ডকুমেন্ট থাকার পরও তিনি নতুন নাটক শুরু করেছেন।
লিনজা ও তার পরিবারের মিথ্যা সাজানো ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
এই বিষয়ে লিনজা আক্তার ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ০১৭৪৪৯১৬৮৭ এই ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অন্য একজন ফোন রিছিভ করে বলেন আমি লিনজা কে চিনি না।
লিনজা আক্তার ফাতেমার বাবা হারুন -উর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিছিভ করেননি।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি তবে কয়েকদিন আগে মেয়ের বাবা মামলা করার জন্য থানায় এসেছে, আমরা মামলা নেইনি কেননা স্বামী স্ত্রী মধ্যে আগেই তালাক এবং সমাধান হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।