পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও এলাকায় রয়েছে অবাধ বিচরণ, একাধিক ধর্ষনের অভিযোগ

মনপুরায় গৃহবধূকে ধর্ষনচেষ্টায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

(অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদার)

ভোলার মনপুরায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ফের গৃহবধূকে ধর্ষনচেষ্টায় থানায় মামলা করেছেন দুই সন্তানের জননী নির্যাতিত ওই গৃহবধূ। মামালার বিষয় ও আসামীকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচজার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার সকালে নির্যাতিত দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় মামলা করে। এর আগে ওই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা ২০১৮ সালে ৩১ মার্চ উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে হারিচ রোকেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে স্কুলের রুমে ধর্ষনচেষ্টা চালায়। তখন ওই শিক্ষিকা প্রশাসনের সহায়তায় থানায় মামলা করে। তবে পুলিশের খাতায় ওই ছাত্রলীগ নেতা পলাতক থাকলেও এলাকায় রয়েছে অবাধ বিচরণ। এছাড়াও ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতার পিতা দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয় আ’লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের প্রভাবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় আমার স্বামী ও শ্বাশুড়ী পাশে ঢালী মার্কেটে ওয়াজ শুনতে যায়। ঘরে আমি আমার ৩ বছরের মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘরের দরজা ভেঙ্গে এনাম হাওলাদার প্রবেশ করে বাতি বন্ধ করে দেয়। তখন আমি কে বললে সে ছুরি বাহির করে আওয়াজ করলে প্রাণে মেরে ফোলার হুমকি দেয়। তখন সে আমার সাথে জোর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি এনামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘরের দরজা খুলে পাশে থাকা ভাসুর মোতালেবের ঘরে গিয়ে চিৎকার করি। এই সুযোগে এনাম পালিয়ে যায়। এই সময় এনামকে দৌড়ে পালাতে আমার ভাসুরের স্ত্রী নুপুর দেখে ফেলে। এদিকে শুক্রবার থানায় মামলা দিতে আসার সময় এনাম তার লোকজন দিয়ে বাঁধা দেয়। এখন বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, গহৃবধূকে ধর্ষনেরচেষ্টায় অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত এনাম হাওলাদারকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।