লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্লীপ ও অন্যান্য টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভোলার লালমোহনে ১২৯ নং ষাটদরুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্ধকৃত স্লিপ, প্রাক প্রাথমিক ও রুটিন মেন্টেনেস এর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপোরে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। লিখিত অভিযোগে থেকে জানা যায় ষাটদরুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরজুল আলম ২০১৮-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে স্লিপের ৫০ হাজার, প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার এবং রুটিন মেন্টেনেস এর ৪০ হাজার এক বছরে ১ লক্ষ করে মোট ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সভাপতি মোট ২ বার ৫০ হাজার করে ২টি চেকে স্বাক্ষর করেছেন। বাকী টাকার স্বাক্ষর সভাপতির কাছ থেকে নেয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বাকী টাকা উত্তোলন করে আতœসাত করেছেন। স্লিপ, প্রাক প্রাথমিক ও রুটিন মেন্টেনেস এর টাকার কোন কাজ প্রধান শিক্ষক করেননি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ও জমি দাতা ইমাম হোসেন জানান আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলাম আমি জানিনা স্লীপের টাকা কিভাবে খরচ করা হয়েছে। আমার থেকে প্রধান শিক্ষক ৫০ হাজার করে ২টি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিল। প্রধান শিক্ষক বলেছিল টাকা উঠিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করবে। কিন্তু গত ২ অর্থবছরের কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক টাকা মেরে দিয়েছেন। এমন কি আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল আলমকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিয়ে আমাকে কল করেছে বলেছে তদন্ত করা হবে। দেখা যাক তদন্তে কি হয়।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ২জন এটিওকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।