চরফ্যাশনে খাদিজা নাছরিন হত্যা ॥ আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলার চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অফিস সহকারী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাদিজা নাছরিন হত্যা মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে চরফ্যাশন শহরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সদর রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারি, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ীসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চরফ্যাশন উপজেলা জলবায়ু ফোরাম ও ভোলা জেলা (দক্ষিণ) নাগরিক ফোরামের সভাপতি এম আবু সিদ্দিক সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, কোস্ট ট্রাস্টের ভোলা জেলার সহকারি পরিচালক রাশিদা বেগম, চরফ্যাশন সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের আহবায়ক ইয়াসিন আরাফাত, সদস্য সচিব এম আমির হোসেন, ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ) সম্পাদক প্রভাষক ইয়াহ হিয়া ইসলাম মনির, নারী নেত্রী মাহমুদা খানম মিলি, চরফ্যাশন উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সাধারন সম্পাদক স্কুল শিক্ষিকা শামসুন্নাহার স্নিগ্ধা, মনির আসলামি, বিডি ক্লিনের আশিকুর রহমান শিপন, চরফ্যাশন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, নিততের চাচা নাছির উদ্দিন খোকন প্রমূখ।


মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, খাদিজা নাসরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থেকে চরফ্যাশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাফলতির কারণেই প্রধান আসামী কামাল হোসেনসহ তার পরিবারের অন্যান্যদের পুলিশ গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে। আগামঅ ৭ দিনের মধ্যে আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দলোনের ঘোষণা দেয়া হবে বলে মানববন্ধনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর চরফ্যাশন সরকারী হাসপাতালে খাদিজা নাছরিন একটি নবজাতক শিশুর জন্ম দেয়ার পরদিন ২২ নভেম্বর দুপুরে স্বামী কামাল হোসেন কালিয়াকান্দী বাড়িতে খাদিজাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঐ রাতে স্বামী কামাল হোসেনের বেডরুমে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত খাদিজারমরদেহ উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। এই ঘটনার পর অপমৃত্যু মামলা হলে দেড় মাস পরে ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে আসে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ১লা জানুয়ারি-২০২১ নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম রুবেল বাদী হয়ে ঘাতক কামাল হোসেনসহ তার পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।