ফলোআপ-৩
ভোলার চরের ঘটনায় ১৫ দিনেও সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ শেখ ফরিদের ॥ গ্রেফতার-৩

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এলাকা ভোলার চরের দুইগ্রুপের সংঘর্ষে নিখোঁজ শেখ ফরিদের সন্ধান ১৫ দিনেও মিলেনি। গত ২৩ নভেম্বর ভোলার চরে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার দুইদিন পরই নিখোঁজ শেখ ফরিদের ভাই আলমগীর মাতাব্বর বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসান রাছেলকে প্রধান আসামী করে ভোলা সদর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা করেন, যাহার নং- ৫৫। এই মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে পুলিশ সরজমিন তদন্ত করে আসার পরই এই সংঘর্ষ হলেও আজ ১৫দিনেও শেখ ফরিদকে উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন, তবে শেখ ফরিদকে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ।
ভোলার চরের বাসিন্দারা জানান, গত ২৩ নভেম্বর সকালে পুলিশ চরে গিয়ে পরির্দশন করে আশার পরই সংঘর্ষ, সেই মারামারিতে নিখোঁজ হয় রাজাপুরের হাদিস মাতাব্বরের ছেলে শেখ ফরিদ। মামলার বাদী পক্ষের দাবী রাছেল খাঁন গ্রুপের লোকেরা হত্যা করে শেখ ফরিদের লাশ গোপন করেছে এই জন্য আটকৃত আসামীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বের হয়ে আসতো শেখ ফরিদ কোথায় ? শেখ ফরিদের স্ত্রী সন্তান, মা, ভাই বোনরা জীবিত কিংবা মৃত্যু শেখ ফরিদকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর অনুরোধ জানান।
শেখ ফরিদের ভাই জানান, আমার ভাইকে আমরা চাই আর যদি লাশ ও না পায় তাহলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে যারা তাদের ফাঁসি চাই। তবে এই বিষয়ে ওই চরের জমির মালিক ওয়াব আলী মেম্বার জানান, আমরা শেখ ফরিদকে চিনিনা। তবে তার ভাইয়েরা ওই চরে জমি চাষাবাদ করে, ভাইয়ের বাসায় মাকে দেখতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রাছেল খাঁঁর লোকজনে নিখোঁজ করেছে শেখ ফরিদকে, এমন কথা শুনেছি বলে জানান তিনি।
রাছেল জানান, আমরা শেখ ফরিদকে চিনিনা। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত চলছে এবং শেখ ফরিদকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।