সর্বশেষঃ

রাজাপুরে অবাধে তেল চুরি প্রকাশ্যে চলে ব্যবসা

রাজাপুরের চর মোঃ আলি ঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে চোরাই তেল সিন্ডিকেট চক্র।

জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, গোপনে চুরি করা হলেও বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার জ্বালানি তেল চুরি করলেও পুলিশ রয়েছে নীরব। এই তেল চুরির ব্যবসা করে চর মোঃআলি এলাকার মাসুদ ভুঁইঞা ও নাজিম আঁকন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ আবার তেল চুরির ব্যবসা ছেড়ে বেছে নিয়েছে অন্য পেশা।

নাজিম পাতারহাট ও বরিশাল থেকে তেল এনে ব্যবসা করার কথা বললেও ব্যবসার আড়ালে করছে চোরাই তেলের ব্যবসা।

নদীর তীরবর্তি হওয়ায় কোন প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো এখানে রয়েছে চোরাই তেলের তিন চারটি দোকান।
এখানে ছোট এবং মাজারি আকারের বোট থামিয়ে অবাধে চুরি করে নামানো হচ্ছে জ্বালানি তেল।

স্থানীয় থানা পুলিশ এই সংবাদ জেনেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো চোরদের পক্ষে সীমিত তেল ধরে কি হবে বলে চলে যায়। প্রতি মাসে হাজার হাজার লিটার জ্বালানি তেল এভাবে চুরি হচ্ছে। বাইরে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে।

স্থানীয় রাজাপুরের রাজনৈতিক পরিচয় দানকারি জৈনেক আব্দুস সাত্তার আঁকন ও মাসুদ ভুইঞা এ চক্রের মুল গড ফাদার বলে জানাযায়। চোরাই তেল ব্যবসায়ী নাজিম আঁকন বলেন জ্বালানি তেলের বোটের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে নেতারা আঁতাত করে চুরিতে মেতে ওঠে, আর আমরা কিনে রাখি আবার বিক্রি করি আমরা তো আর চুরি করিনা। এদিকে নাজিম কে বোটের নং চাইলে সে নং দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক, আমিও শুনেছি ,আশা করি প্রশাসন তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।

এবিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বিষয়টি জানালে মোবাইল টিম ও ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যকে ঘটনা স্থলে পাঠালে তারা স্থানে গিয়ে নিশ্চুপ হয়ে নানান ছলচাতুরি করে চোরা কারবারিদের বাঁচিয়ে চলে আসেন। পুলিশ চোরাই তেলের বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না করার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন আমি এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।