সর্বশেষঃ

দেশীয় মুরগি পালনে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার অনবদ্য সাফল্য

ভোলার আর্থ সামাজিক ও কৃষিখাতের উন্নয়নে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভোলা জেলায় বেসরকারী পর্যায়ে দেশী মুরগির একমাত্র ব্রিডিং খামার প্রতিষ্ঠা করেছে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা।
সূত্রে জানা গেছে, পিকেএসএফ এর আর্থিক সহযোগীতায় ২০১৭ সালে ১৫০০ দেশি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে খামারটিতে দুই জাতের সাড়ে চার হাজারদেশী মুরগি আছে। খামারের হ্যাচারীতে প্রতি মাসে আনুমানিক ৩০০০ এর মতো বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ৫৬০ জন স্থানীয় খামারীকে স্বল্পমূল্যে এই দেশী মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করছে ও উক্ত খামারীদের মুরগি পালনে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে আধুনিক খাচা সরবরাহ, ভ্যাক্সিন প্রদানসহ অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।
এই সহায়তা নিয়ে খামারী খাদিজা আক্তার আখি বর্তমানে ১০০ দেশি মুরগি পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে অনেক অনেক সুবিধা পেয়েছি। মুরগির অসুস্থ্যতায় সবসময় সংস্থার পক্ষ থেকে পশু ডাক্তারের সাহায্য পেয়েছি। দেশি মুরগি পালনের ট্রেনিং ও ফ্রি ভ্যাকসিন না পেলে মুরগি পালন করে আমি লাভবান হতে পারতাম নাহ।
খামারের পরিচালক ড. তরুণ কুমার পাল বলেন, দেশী মুরগীর পালনে খামারীদের উৎসাহিত করতে এবং খামারীদের নীরোগ ও সবল বাচ্চা সরবরাহে আমরা সফল।
এ সফলতা সম্পর্কে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রজেক্টটির ফোকাল পার্সন জাকির হোসেন মহিন বলেন, বাণিজ্য করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দেশী মুরগির জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। স্থানীয় খামারীরা দেশী মুরগি পালন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে, তাদের মুখে হাসি ফুটলেই আমি মনে করি আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।