চরফ্যাশনে শ্বাশুড়ি পেটালেন মেয়ের জামাইকে !

ভোলা চরফ্যাশন জাহানপুর ইউনিয়নের মোঃ হাসেম মাঝির স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৪০) বাদী হয়ে স্বামীর ঋণের টাকা থেকে মুক্তি পেতে মোঃ হেলাল চৌধুরীর (৩৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট সে বিষয়ে মেয়ের জামাই আকবর হোসেন মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় নিজেই পেটালেন মেয়ের জামাইকে এবং বেয়াই (আকবরের বাবা) নয়ন মিস্ত্রিকে নারী নির্যাতন মামলার হুমকিও দেন। রবিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার সময় চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড মোঃ হাসেম মাঝির বাড়িতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র জানায়, হেলাল চৌধুরীর মৎস আরদ থেকে ইলিশ মৌসুমে জেলে মোঃ হাসেম মাঝি স্বাক্ষী গণের উপস্থিতিতে, স্টাম্পে স্বাক্ষর করে, ১৩ লক্ষ টাকা মাছ ধরার ট্রলারে দাদন হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু অনেক দিন ধরে মাছ বা টাকা কিছুই না দেয়ায় জেলে হাসেম মাঝি কে হেলাল চৌধুরী চাপ প্রয়োগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান হাসেম মাঝি। দু’দিন পারে তার স্ত্রীকে দিয়ে হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নাং ৭২৮/২০২০।
জামাই আকবর হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী সন্তান শশুর বাড়িতে থাকায় আমি বিকেলে সে বাড়িতে যাই। কিছু না বুঝে উঠতেই আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। আর বলেন, তুই কেন সাংবাদিকদেরকে সত্য কথা বললি। আমার শ্বাশুড়ি তাছলিমা বেগম বলেন, হেলাল চৌধুরী আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে সেটা বললি না কেন ? যা ভিডিও সাক্ষাৎকার ও ফুটেজ আছে।
তাছলিমা বেগমের বেয়াই (আকবরের বাবা) নয়ন মিস্ত্রি বলেন, সত্য কথা বলায় আমার ছেলেকে এমন মেরেছে। আমার বেয়াইন (তাছলিমা বেগম) বাজারে এসে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এর সামনে আমাকে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তাসলিমা বেগম জামাইকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী মোঃ হাসেম অনেক টাকা দেনা আছে। দেনাদারের ভয়ে সে এখন বাড়ির বাইরে পলাতক। এভাবে কয়দিন থাকবে ? আপনার একটা ফয়সালা করে দেন।
এ ব্যাপারে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।