ভোলায় চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ যুগ পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত
ভোলায় মুজিব বর্ষ উদযাপন ও ভোলা জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালেয়ের ৩ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে আনন্দঘন উৎসব ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির মাঠে সীমিত পরিসরে এক অনাড়ম্বর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও বিদ্যালয়ের ৩ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে স্মরণিকা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আবদুর রব স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক গোলাম কিবরিয়া জাহাঙ্গীর, আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহান জেব আলম টিটু, শহীদ জিয়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খালেদা খানম।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কথা তুলে ধরে বিদ্যালয় সম্পর্কে এক সংক্ষিপ্ত আবেগঘন স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ৬৬ নং চরকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম ছাদেক, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফাতেমা বেগম, এনআরবি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ওবায়েদুর রহমান প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রাক্তন ৬ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যারা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন তাদের মধ্যে ৮ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এদের মধ্যে ৫ জনকে দেওয়া হয় মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক। এসময় বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে মোট ৬ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এদের মধ্যে ৩ জনকে দেওয়া হয় মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আনোয়ার পারভেজ ও সাংস্কৃতিক কর্মী তালহা তালুকদার বাঁধন।