ভোলা ইলিশার দু’পা হারানো ইউসুফের পরিবারের কান্না দেখার কেউ নাই?

উপোস কাটছে পা হারানো ভোলার রিকসা চালক ইউছুফ ও তার পরিবারের।একসময়ের প্রাণচঞ্চল্যের সাজানো গেছানো পরিবারে এখন চলছে সীমাহীন কষ্ট ও দুঃসময়।সাহায্য না পেলে এ পরিবারটির সামনে এগিয়ে যাওয়ার আর কোন পথ নেই!

২০১৫ সালের দিকে হঠাৎ করে বাম পায়ে প্রচন্ড ব্যথা আসে ইউছুফের। এরপর ধারদেনা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে অপারেশনের মাধ্যমে পায়ের কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলেন সার্জন তিকিৎসক। কৃত্রিম পা নিয়ে প্রায় পাঁচটি বছর কেটে যায় তাঁর। এ পাঁচ বছরে কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে কোনোমতে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন ৩ সন্তানের এই জনক। কিন্তু ভাগ্য বড়ই বেমানান। ২০২০ সালের দিকে হঠাৎ করে আবারও ডান পায়ে ব্যথা আসে তাঁর। এরপর আর রিকশাও চালাতে পারেননি।আবারো অনেক ধারদেনা করে দীর্ঘ ৮ মাস অনেক ঔষধ খেয়েও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি সে।

অবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২০ দিন আগে ডান পায়ের অপারেশন করে ডান পায়ের কব্জি পর্যন্তও ফেলে দিতে হয়েছে তাঁর।বর্তমানে পা দুটি হারিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী গ্রামের মৃত সিরাজ পাটোয়ারীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক ইউছুফ হোসেন। ইউছুফ হোসেন জানান, ভিটেমাটি বিক্রি করে দুইটি পায়ের চিকিৎসা চালিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছেন তিনি।কঠিন সময় পার করছেন তিনি। এখন তিনবেলা তো দূরের কথা একবেলাও ঠিকমতো খেতে পারছেন না তিনি। এখনও ৭ দিন পরপর পা ড্রেসিং করতে হয় এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে।

সমাজের সকল বিত্তবান ও দানশীল মানুষসহ সরকারের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন পা হারানো অসহায় রিকসা চালক ইউছুফ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।