চরফ্যাশনে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির পণ্য

গ্রামঞ্চলে সাধারণত সকাল বেলা চায়ের সাথে বিস্কুট, কেক, রুটিসহ নানা জাতীয় বেকারি খাবার পরিবারের প্রায় সকলেই খেয়ে থাকেন। দিনদিন এর চাহিদাও কম নয়। শিশুদের পছন্দের খাবার হিসেবেও এসব খাবার তাদের কাছে প্রিয়। এছাড়া বাসাবাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনদের বেকারি খাবার একটি অন্যতম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদাও ব্যাপক। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হরহামেশাই প্রতিদিন পৌঁছে যায় এসব খাদ্যসামগ্রী। এসবের বেশিরভাগ পণ্যে থাকে লেবেল। ফলে মানুষ নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত মনে করেই এসব খেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু ভোলার চরফ্যাসন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানাধীন ১৫ নং অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়নের বাবুর হার্ট বাজার সংলগ্ন ‘আবু তাহের বেকারি’ নামক একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। যেমন- কেক, রুটি, বিস্কুটসহ নানা বেকারি খাবার। ওই বেকারির অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে মনে হবে এটি একটি মেস বা পরিত্যক্ত বাসা। ওই প্রতিষ্ঠনটির ভিতরে রয়েছে গাছের গুঁড়িসহ পুরনো সব ডালপালা। স্যাঁতসেঁতে মাটিসহ নোংরা পরিবেশ। নামমাত্র একটি ঘরে বড় আকারে চুলা বসিয়ে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরে দেখা যায়, শ্রমিকরা মাটিতে দাঁড়িয়ে অপরিছন্ন শরীরে এসব পণ্য তৈরিতে ব্যস্ত।
একজন শ্রমিক জানান, মালিকের নাম আবু তাহের। তিনি এখানে নাই চরফ্যাশন গিয়েছেন। এ সময় মৃত: আলী হোসেনের ছেলে, বেকারি মালিক তাহেরের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমার মামাতো ভাই একজন সাংবাদিক আইনী জটিলতা তিনি দেখেন। কারখানায় থাকা এক ব্যাক্তির সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা কর্মচারী। পরে তারা এক সময় দাপট দেখিয়ে বলেন, কোন ছবি তুলবেন না। এ সময় তারা বলেন, আপনি ছবি তুলেছেন, ছবি তুলে থাকলে তা ঠিক হবে না। পরে তারা চা খাওয়ার অফার দেন। সংবাদ কর্মী পরিবেশ এমন কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, কই সব তো ঠিক আছে।
কারখানার মালিক তাহেরের কাছে বিএসটিআই এর অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কাগজ দেখাতে অপরাগত শিকার করে বলেন ওই কাগজ পত্র আমার মামাতো ভাই সাংবাদিক এর কাছে আছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন মানহীন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে এসব পণ্য তৈরি হয়, এ প্রশ্ন অনেকের। এলাকাবাসী প্রশাসনের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার ভোলা সহকারী পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হাসান জানান, আমরা শীগ্রই এদের বিরুদ্ধে অভিয়যান পরিচালনা করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।