হুমকির মুখে ওয়াপদার বেড়ীবাঁধ

লালমোহনে রওনক ব্রিকস এ জ্বলছে সরকারি সৌর বাতি, পুড়ছে বনের কাঠ

ভোলার লালমোহন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে ইট ভাটা নির্মাণ, সরকারী বেড়ীবাঁধের মাটি কেটে ইট তৈয়ারি ও মাটি বিক্রি, বন বিভাগের বিভিন্ন বাগান থেকে তার বাহিনী দিয়ে গাছ কেটে এনে ইট পোড়নো, সরকারী সৌর বিদ্যুৎ এর স্টীক সোলার বাতি নামে ও বে-নামে সৃষ্টি করে ইট ভাটায় জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামের মেঘনা নদীর তীরবর্তী ও সরকারী বেড়ীঁবাধের মধ্যবর্তী এলাকার প্রায় ৩ একর কৃষি জমিতে শাহ্ ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করেন গাজারিয়ার এলাকার মোঃ কামাল হোসেন। এর পর শাহ্ ব্রিকস টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কু-নজরে পড়ায় চেয়ারম্যান তার বাহিনী দিয়ে শাহ্ ব্রিকস এর মালিক কামাল হোসেনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও ভয় ভিতী দেখেয়ি সু-কৌশলে ইট ভাটা তাকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওই শাহ্ ব্রিকস এর নাম পরিবর্তন করে রওনক ব্রিকস নামে নামকরণ করে পরিচালনা শুরু করেন। এরপর শুরু হয় আশপাশের কৃষি জমি জোর পূর্বক দখল ও ক্রয় বিক্র এর প্রতিযোগিতা। বর্তমানে রওনক ব্রিকস টি প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে ইট তৈরি করে বিক্রি করছেন। এদিকে ইট ভাটা সংলগ্ম ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ এর জমি ও তার পাশ থেকে মাটি খনন করে ইট তৈয়ারি করেন এবং বিভিন্ন ইট ভাটায় ওই মাটি বিক্রি করায় হুমকীর মুখে রয়েছে সরকারী বেঁড়ীবাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলকাবাসী অভিযোগ করেন, বন বিভাগের সরকারী কেওড়া গাছ বিভিন্ন বাগান থেকে তার বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে কেটে ট্রলারে করে এনে রওনক ব্রিকস এ পোড়নো হয়। জনগণের জন্য দেওয়া সরকারী সৌর বিদ্যুৎ এর স্টীক সোলার বাতি নামে ও বে-নামে সৃষ্টি করে এই ভাটায় জ্বালানো হচ্ছে। তোয়াক্কা করছে না পরিবেশ অধিদপ্তরে কোন প্রকার আইন। তারা আরো অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যানের ইট ভাটা সংলগ্ম বেঁড়ীঁবাধের উপর বসবাস করা অসহায়, নদী ভাঙ্গা, গারীব, দুস্থ ও ছিন্নমূল শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী। চেয়ারম্যান ও তার পালিত এসকল ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এলাকার লোকজন কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্য হামলা, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও নাজেহাল করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।