লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
লালমোহনে শীতের শুরুতেই বাড়ছে শিশু রোগ
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলার লালমোহনে শীতের প্রকোপ শুরু হতেই বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুরোগ। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে অন্তত দুই সহস্রাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ডক্টরস চেম্বারে। শিশুরোগ মোকাবিলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সচল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ভুক্তভোগীরা। প্রতিদিন ২০-২৫ কিলোমিটার করে পথ পাড়ি দিয়ে শিশুদের নিয়ে স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে উপজেলা সদরে।
এছাড়া উপজেলার আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় ডক্টরস চেম্বার ও হাতুরে ডাক্তারদের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব ডক্টরস চেম্বারগুলোতে দেখা যায় শিশু রোগী নিয়ে আসা অভিভাবকদের ভিড়। এদিকে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের পক্ষে উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হলেও রীতিমত বিপাকে পরছেন গরীব ও অসহায় রোগীর স্বজনরা। যার কারণে গ্রাম-গঞ্জের ভুঁইফোঁড় ডক্টরস চেম্বার এবং কোথাও কোথাও হাতুরে ডাক্তাররাই দরিদ্র রোগীদের ভরসাস্থল হয়ে ওঠেছেন। এমন অবস্থায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত ডাক্তার প্রদানের দাবী ওঠছে সচেতন মহল থেকে।
লালমোহন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মহসিন খান বলেন, হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলাতি নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, এ সময়ে শিশুদের রোগ বাড়ছে। এটি এক ধরনের সৃজনালি বিষয়। প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তন হলে শিশু রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। আগের তুলনায় গত কয়েক দিনে ২০ শতাংশ শিশুরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরাও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি সাধ্যমত। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে সাব সেন্টার রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে ২দিন করে এমবিবিএস ডাক্তার পাঠানোর চেষ্টা করছি।