সর্বশেষঃ

ভোলায় কবুতর পালন করে বেকার যুবকের ভাগ্য বদল

ভোলায় কবুতর পালন করে ভাগ্য বদলেছে এক বেকার যুবকের। তার এ সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক তাহার পরামর্শ নিয়ে ছোট ছোট আকারে কবুতরের খামার করতে শুরু করেছে। বেকারদের কর্মসংস্থানে এক নতুন দিগন্তের হাতছানি দিচ্ছে ওই গ্রামের নকীবের কবুতরের খামার।
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়নের তেরোকান্দি গ্রামের আসমত আলি বাড়ির বেকার যুবক নকীব। বেকারত্তের অভাব ঘোচাতে প্রথমে শখের বশে মাত্র দেশীয় দুই জোড়া কবুতর নিয়ে তার স্বপ্নের যাত্রা শুরু করে। খামারের যাত্রার প্রথমেই এলাকার মানুষের নানান কথা শুনেও হাল ছাড়েনি নকীব। দুই থেকে চার, চার থেকে আট এভাবে বাড়তে থাকে তার কবুতর খামারের পরিধি। খামার দেখভালের জন্য নিজে এবং তার মেয়ে সহ প্রাণী সম্পদের ডাক্তাররা সব সময়ই পাশে ছিল তার।
বর্তমানে তার দেশী ও বিদেশী কবুতরের পরিমান এক হাজার। তা এখন বণিজ্যিকভাবে চলছে এলাকার বিভিন্ন লোকজন তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছে খামার করার জন্য। ইতোমধ্যে তার দেখাদেখি ওই গ্রামে প্রায় ৪০টি কবুতরের খামার হয়েছে। আরও অনেকে খামার করতে শুরু করেছে। বর্তমানে তার খামারে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বলে নকীব জানান। তার খামারে দেশী কবুতর ছাড়াও রয়েছে, ফেন্সি, বোটার, জ্যাকোভিন, ভোখারা, গ্রীজেল, রেচার জাতের বিদেশী কবুতর। ওই এলাকার বাংলা বাজারে একটি কবুতর বিক্রির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন নকীব। এখন সেখানে দুর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা এসে কবতুর ক্রয় করে নিয়ে যান।
ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, দক্ষিণ দিঘলদী গ্রামের নকীব কবুতর পালন করে এখন সাবলম্বী। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরির পিছনে না ছুটে এখন কবুতর পালনে ঝুকছে। ঐ গ্রামে প্রায় ছোট বড় ৩০ থেকে ৪০ টি কবুতর খামার গড়ে উঠেছে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর এই উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।