ভোলার মেঘনায় জেলেদের আতঙ্কের নাম রুহুল আমিন ও ইউসুফ
নদীবেষ্টিত পরিচিতো দ্বীপজেলা ভোলা, এই জেলার অভিভাবক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক সফল মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি যার নির্দেশে বিগত তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকলে ও আওয়ামীলীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি উভয় মিলেমিশে চলাফেরা করেন। নেই কোন চাঁদাবাজি হানাহানি দল বিদল সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাফেরা করেন। ভোলার বেশির ভাগ মানুষই জীবিকা নির্বাহ করেন মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করে। কেউ মাছ ধরেন, আবার কেউ মাছের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করলেও তাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াচ্ছেন কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের নামধারী মাঝি ইউসুুপ ও রুহুল আমিন।
গত কয়েক বছর পূর্বেও জেল খেটে এসে নুন আনতে পানতা ফুরানো রুহল আমিন ও ইউসুপ এদের আজ অর্থ সম্পদের অভাব নেই। এরা আজ ইলিশায় জেলে মাঝিদের কাছে আতঙ্ক নামে পরিচিতো। রুহুল আমিনের বাড়ি পরানগঞ্জে হলেও ইলিশার জংশন মাছঘাট এলাকায় তাদের রয়েছে একটি চেম্বার, নিয়ন্ত্রণ করেছেন মেঘনা নদীর চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট।
ভোলার কোস্টগার্ড বাহিনী সুনামের সাথে মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় আজ জলদস্যু মুক্ত, নৌ-পথে আশা বড় বড় ইয়াবার চালান, শাড়ী আটক করে দেশের মধ্যে সুনাম অর্জন করলেও ইউসুপ, রুহুল আমিন মাঝি তাদের নাম ব্যবহার করে আজ নিজে আখের গুছিয়েছে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, রুহুল আমিন ও ইউসুপ কথিত মাঝি। এরা নাকি যা বলে কোস্টর্গাড তাই শুনি। আমরা টাকা দিতে না চাইলে তারা কোস্টগার্ড দিয়ে আমাদের জেলেদের ধরে জাল নৌকা নিয়ে আশার হুমকি দিতো, ব্যবসা করতে হলে ভাই দিতে হবে, আর কি করবো।
জেলেরা বলেন, আপনাদের বললে আমাদের উপর আরো বেশি ক্ষতি করবে, আপনারা পারবেন আমাদের ঠেকাতে ? রাজাপুরের জেলে জামাল বলেন, রুহুল বা ইউসুপ মাঝি নদীতে তার দলবল নিয়ে জাল ধরেই মোটা অংকের টাকা খেয়ে আবার ছেড়ে দেয়, আমরা গরীব মানুষ, বিচার কার কাছে দিবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইলিশার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, কি ছিলো তাদের আর এখন টাকা পয়সার পাহাড়, মাছ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বসে সাহেবজাদার মত বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত কথিত মাঝিদের কল করলে তারা রিসিভ করেন নি।
ভোলার নৌ-ওসি সুজন পাল বলেন, এ রকম নামের আমাদের কোন নির্দিষ্ট মাঝি নাই। যদি কেউ পরিচয় দেয় তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড এর মিডিয়া কর্মকর্তাকে ফোনে করলে তিনি বলেন, আমাদের কোন নির্দিষ্ট মাঝি নাই। যদি কেউ আমাদের নাম পরিচয় দিয়ে কোন কাজ করে, তার যদি সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।