সর্বশেষঃ

ইলিশায় নেছারিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বিয়ে করলেন ।। বাড়ীতে ডেকে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন সুপার

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের মাদ্রাসারহাটের নেছারিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সফি হুজুর, প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক সন্তানের জননী কে বিয়ে করেন গত তিন বছর আগে। ওই বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার রফাদফা করেন মাদ্রাসার সুপার মহিউবুল্লাহ্। সফি হুজুরের দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, আমাদের দরজার মসজিদের ইমামতি করতেন, ইলিশা নেছারিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এবং পশ্চিম ইলিশা ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফি হুজুর।
ওই সময় তিনি আমাকে নানা ভাবে লোভ দেখিয়ে বিয়ে করেন এক পর্যায়ে এইসব বিষয় এলাকার মুসুল্লিরা জেনে, নামাজের টাইমে মসজিদের মধ্যে জিজ্ঞেস করলে তিনি মিথ্যা বলেন, যে আমাকে বিয়ে করেনি, মসজিদে বসে একজন হুজুর মিথ্যা বলায় মুসুল্লিরা এই মসজিদ থেকে তাকে বের করে দিয়েছে।
এর পর থেকে আমার আর খোজখবর রাখেনি। হঠাৎ একদিন আমাকে ভোলা নিয়ে একটি কাগজে সাক্ষর করতে বলে আমার স্বামী সফি হুজুরে, বলে যে তোমার নামে ডিফিএস করবো। আবার গতকাল ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মহিউবুল্লাহ্ তার বাসায় আমাকে খবর দিয়ে নিয়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বলে, আর কোন কথা বলবেন না, এমনেই কিছু পেতেন না, যা পেয়েছেন সেটা নিয়ে খুশি থাকেন, এর পর একজন কাজী এনে সফি হুজুরের বড় এক ছেলেসহ এসে আমার কাছ থেকে তালাক নামায় সাক্ষর নিয়েছে।
আমার কাবিন ২ লক্ষ টাকা মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সব সমাধান করে দিলো সুপার মহিউবুল্লাহ্, আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলো, আমরা গরীব বলে সব মেনে নিতে হলো,আল্লাহ্ কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সফি হুজুর বলেন, আমি বিয়ে করেছি, আবার তালাক দিয়েছি, এগুলো সব জায়েজ আছে।
নেছারিয়া মাদ্রাসার সুপার এর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, এক পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন জ্বি আমার বাড়ীতে বসে সমাধান করে দিয়েছি, সমাধানে স্থাণীয় কোন গণ্যমান্য লোক ছিলো কিনা? এবং কাবিনে কত টাকা ছিলো জানতে চাইলে সুপার মহিউবুল্লাহ্ বলেন ভাই এগুলো করে আর কি হবে।
এই বিষয়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বলেন, বিষয়টি আমি জানি তবে হুজুর কে আমরা বলেছি সংসার করতে মেয়েটি কে নিয়ে কিন্তু তালাক হইছে এটা জানিনা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।