ভোলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” উদ্বোধন

ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে "বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার" উদ্বোধন করছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ডা. অমিতাভ সরকার। ছবিঃ ভোলার বাণী।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ভোলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফিতা কেটে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” এর উদ্বোধন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব ডা. অমিতাভ সরকার। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার মিনি কনফারেন্স রুমে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যান বোর্ড বরিশাল বিভাগের পরিচালক ও উপসচিব মোঃ সোহরাব হোসেন, ভোলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজিত হাওলাদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবি আব্দুল্লাহ সহ জেলা প্রশাসনের সকল এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রেটগণ, সকল কালেক্টরেট কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ডা. অমিতাভ সরকার বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কোন গল্প নয়, ইতিহাসের নৃশংস জীবন্ত ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙ্গালি যুদ্ধের ময়দানে প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য। বাংলাদেশ জন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর এই আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে প্রত্যেকটি সরকারি স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করা উচিৎ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, মুজিব বর্ষ চলাকালীন সময়ে আমি ভোলার মতো একটি জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি যে জেলার অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এজন্য এ জেলায় দায়িত্ব পালন করে আমি আনন্দিত। আমরা চাই সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখুক। সেলক্ষ্য নিয়েই আমরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করেছি। এটা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রায় চার শতাধিক বই রয়েছে। যেকেউ চাইলে এখানে এসে বই পড়তে পরবে।

পরে বঙ্গবন্ধু তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জনকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ডা. অমিতাভ সরকার।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।