চরফ্যাশনে ধর্ষণ চেষ্টায় মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা
ভোলার চরফ্যাসনের জৈনক গৃহবধূর ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী আরব আলী, শাহে আলম, বাছেদ ও কামালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট মামলার (কমপ্লেইন পিটিশন নং ৪২৩/২০) দাখিলী তদন্ত প্রতিবেদন শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আতোয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
বিবরণে প্রকাশ, আরব আলী গং প্রতিবেশী এক গৃহবধূ কে ধর্ষণ চেষ্টায় ঘটনা ঘটায় ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামী আরব আলী, শাহে আলম, মোঃ বাছেদ,ও কামালের বিরুদ্ধে গত ২৫/০৮/২০২০ইং তারিখে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ)/৩০ দঃ বিঃ আইনে কমপ্লেইন পিটিশন নং ৪২৩/২০ইং দায়ের করে বিজ্ঞ আদালত উহার শুনানী শেষে স্থানীয় হামিদপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ অহিদুর রহমানকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। ইহাতে দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা যথা নিয়মে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। ০৯/১১/২০ইং তারিখে দাখিলী তদন্ত পূতিবেদন শুনানী শেষে আসামীগনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যুর। পরোয়ানা ইসুর আদেশ দেন।
আসামীরা হলেন, উপজেলার কুলছুমবাগ ০৫নং ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ মালের পুত্র মোঃ আরব আলী ও একই সাকিনের মৃত আঃ রহিমের পুত্র শাহে আলম জিন্নাগড়, ০৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহেরের পুত্র মোঃ বাছেদ ও পৌরসভা ০৪নং ওয়ার্ডের মৃত মজিদ খার পুত্র মোঃ কামাল বলে জানাগেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, অপহরন, নারী নির্যাতন, মারপিট, লুটপাট, ছিনতাই, রাহাজানি, অন্যায়, অত্যাচার, জোড়, জুলুম, সহ নানা বিধ অভিযোগে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী এ চক্রেটি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। স্থানীরা এবং ভুক্তিভোগীরা সন্ত্রাসী এ চক্রটির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুহের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে।