সর্বশেষঃ

লালমোহনে সাংবাদিকদের ভোগদখলীয় জমি জোর করে দখলের চেষ্টার অভিযোগ

ভোলার লালমোহন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান লিটন গংদের ভোগদখলীয় বসত বাড়ীতে জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। বাঁধা দিতে গেলে প্রতি পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র্র নিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে সীমানা পীলার ভেঙ্গে গাছ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলে যায়। সীমানা পিলারের ভিতরে জোর পূর্বক সুপারী গাছ রোপন করে। সে অভিযোগে এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় কাউন্সিলর ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মাধ্যমে শুকনা সিজনে ফয়সালা হওয়ার কথা থাকলেও ৭ নভেম্বর শনিবার দুপুরে প্রতিপক্ষ হারুন ও তার ২ ছেলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঐ স্থানে বেড়া নির্মাম করে।
লালমোহন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান লিটন এর পিতা নুর মোহাম্মদ মাস্টার জানান, লালমোহনের পেশকার হাওলা মৌজার জেএল নং ২০, খতিয়ান নং ২২২, দাগ নং ১৮৩ তে মোট জমি ২৮ শতাংশ। এই ২৮ শতাংশের অর্ধেক জমি অর্থাৎ ১৪ শতাংশের মালিক ছিলেন আঃ রশিদ। ১৪ শতাংশ জমি ধেকে আঃ রশিদ ৮ শতাংশ জমি নুর মোহাম্ম মাস্টারের কাছে আগেই বিক্রি করেন। বাকী ৬ শতাংশ জমি গত ১১/০৬/১৯৯৬ সালে নুর মোহাম্মদ মাস্টারের কাছে ৫ শতাংশ এবং অহিদ মিয়ার কাছে ১ শতাংশ বিক্রি করেন। যার দলিল নং ২৮৯১। নুর মোহাম্মদ মাস্টার জমির দলিল হওয়ার পর বাড়ী চলে আসেন। কিন্তু দাতা আঃ রশিদ ঐ একই দিনে একই জমির ৪ শতাংশ রিজিয়া বেগমের (অহিদ মিয়ার বোন ১ শতাংশ যিনি ক্রয় করেছেন) নামে পূণরায় বিক্রি করেন। যার দলিল নং ২৮৯২। তারিখ একই ১১/০৬/১৯৯৬। দাতার এই দুরভিসন্ধি সম্পর্কে নুর মোহাম্মদ মাস্টার কিছুই জানতেন না।
নুর মোহাম্মদ মাস্টার জমিতে তার বড় ছেলে প্রফেসর জুলফিকার আমমেদ (খোকন) বিল্ডিং করার জন্য কাজ শুরু করলে রিজিয়া বেগমের স্বামী হারুন ছেলে জাকির ও সোহাগ জমিতে এসে বাধা দেয় এবং জমি তাদের দাবী করলে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর এর মাধ্যমে বিল্ডিং করার জন্য বলা হয় এবং শুকনা মৌসুমে বসে জমি মেপে মিমাংশা করা হবে এরকম সিদ্বান্ত হয়। কিন্তু শুকনা মৌসুম আসার আগেই ৭ নভেম্বর রিজিয়া বেগমের লোকজন জমিতে এসে জোর পূর্বক সীমানা পীলার ভেঙ্গে বেড়া দিতে থাকে। নুরমোহাম্মদ মাস্টারের ছেলেরা বেড়া দিতে বাধা দিলে রিজিয়া বেগমের স্বামী হারুন ছেলে জাকির ও সোহাগ এর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষের অবস্থা তৈরী করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল কবিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, নুর মোহাম্মদ স্যার এর বড় ছেলে খোকন নতুন ভবন করার সময় রিজিয়া বেগমের লোকজন বাঁধা দিয়েছিল। তখন আমরা বসে কাগজপত্র দেখে বুঝলাম এবং আমাদের দৃষ্টিতে ভবন করা যায়। তখন ভবন করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল সামনে সিজনে মাপজোফ করে ফাইনাল করে দেয়া হবে। কিন্তু রিজিয়া বেগমের লোকজন বেড়া দিতেছে এমন সংবাদ নুর মোহাম্মদ স্যার আজকে আমাকে জানানোর পর আমি পৌরসভা থেকে ভিডিভি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেছি। কিন্তু তারা কাজ বন্ধ করেনাই। আমি কাজ থাকার কারনে আজকে সেখানে যেতে পারিনাই। আমি কালকে সেখানে গিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিব।
প্রতিপক্ষ রিজিয়া বেগমের ছেলে জাকিরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য মোবাইল (০১৭২২৬৫২৬৬৮) করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান লিটন বলেন, আমাদের পরিবারের উপর দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে জোর-জুলুম চালিয়ে আসছে এই পরিবারটি। আজকের ব্যাপারটি নিয়ে আইনের সাহায্য নিবেন বলে তিনি জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।