ভোলায় জাতীয় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভোলায় মৃত্যুঞ্জয়ী জাতীয় ৪ নেতার ৪৫তম জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা শহরের চিলি রেস্টুরেন্ট এর কনফারেন্স রুমে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার উদ্যােগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইনুর রহমান তুহিন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, শান্তিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা আজিজ মেহরাব মোল্লা, সোহেব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রনি।

আলোচনা সভায় অতিথি ও নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। জাতীয় চার নেতার অন্যতম খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার যোগ্য রাজনৈতিক উত্তরসূরীদেরও হত্যা করা হয়, যেন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেন, যার মাশুল জাতি আজো দিয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতীয় চার নেতার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে জেলহত্যার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত তুলে ধরেন।

তারা বলেন, মুশতাক-জিয়ারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন, তা আজও শেষ হয়নি। আজও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের তাই সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।