নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলায় গত ২০ দিনে ৫২০ জেলের জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে ৩২৪ জনের কারাদন্ড ও ১৯৬ জনের জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এদের মধ্যে সদরে আটক হয়েছে ১৬৮ জন। এদের মধ্যে ১১৭ জনের কারাদন্ড ও ৫১ জনের জরিমানা, দৌলতখান উপজেলায় ৩১ জন আটকের মধ্যে ১৮ জনের জেল ও ১৩ জনের জরিমানা, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আটককৃত ৭৫ জনের মধ্যে ৪৩ জনের জেল ও ৩২ জনের জরিমানা, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩২ জনের কারাদন্ড, লালমোহন উপজেলায় আটককৃত ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জনের জেল ও ১৬ জনের জরিমানা, চরফ্যাশন উপজেলায় আটককৃত ১৩৬ জনের মধ্যে ৯০ জনের জেল ও ৪৬ জনের জরিমানা এবং মনপুরা উপজেলায় আটককৃত ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের জেল ও ৬ জনের জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) জেলা মৎস্য অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুত্র জানায়, ২০ দিনের জেলার সাত উপজেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ৩০৬ টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫২০ জেলের জেল জরিমানা ছাড়াও ৯ লাখ ৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১.৭০ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ টি অভিযানে ৬ জেলের জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভোলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর ইলিশের অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে, যে কারনে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আমরা মনে করছি। উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।