সর্বশেষঃ

ভোলায় শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের হামলায় জামাই আহত 

জামাইয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন শশুর, পাওনা টাকা চাওয়ায় উল্টো জামাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,  ভোলা সদর উপজেলা ২ নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড বাগার হাওলা, ইউনুস আলী মাল এর  বাড়ির, মৃত শামসুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে হান্নান বেপারী জানায়, আমি বিয়ে করেছি প্রায় দুই বছর আগে পশ্চিম ইলিশা ১নং ওয়ার্ডের শাহ আলম হাজীর মেয়ে,মোটামুটি আমার সংসার ভালই কাটছিল কিছু দিন যেতেই আমার শ্বশুর আমাকে তার বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নেয় এবং খাওয়া-দাওয়া শেষে বলে জামাই তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে এই কথা বলে আমার স্ত্রী আমার শাশুড়ি ও আমার শ্যালক সহ সবাই মিলে পরামর্শ করে বলল তুমি আমাদের বাড়ির এখানেই জমি কিনে এখানেই ঘর করো ও এই রৌদ্রের হাটে ব্যবসা করো এই কথা বলার পরে আমার শ্বশুর বলল জমি আমি দেখে রেখেছি কথাবার্তা বলেছি তুমি টাকা দাও, কিছুদিন পর আমি তাকে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা দেই, একমাস পরে আমার শ্বশুর বলে জমিতে মাটি কাটার কথা বলে ৫৫ হাজার টাকা নেয়, কিছুদিন পর আমার শ্বশুর আমাকে বলে তুমি আমাকে কিছু টাকা হাওলাত দাও আমি তোমাকে ফেরত দিয়ে দেব আমি আমার শ্বশুরকে ৭০ হাজার টাকা দেই, এবং জমি রেজিস্ট্রি করতে আমার শ্বশুর আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় জমির দলিল এর কথা জিজ্ঞাসা করলে আজকাল করে আমাকে দলিল দেয় নাই, আমার শ্বশুর আমার সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় আমার কাছ থেকে।  কিছুদিন পর আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, তার বাবার কথা অনুযায়ী আমার নামে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়িতে দরখাস্ত করে আমি নাকি তাকে মারধর করি ইলিশা ফাঁড়িতে বিচারের কথা থাকলেও তারা হাজির হয়নি, খালেক মেম্বারের বাড়িতে বিচার হয়েছে, তারা সেই বিচারও মানে নাই, ওই এলাকায় একাধিকবার বিচার হয়েছে, তারা কোনো বিচার মানেনা,  জমির দলিল ও পাওনা টাকা চাওয়াটা কি আমার অপরাধ, ভুক্তভোগী হান্নান জানায় গত ২৮ অক্টোবর আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমি আমার সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে যাই আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি শালা ও শালার বউ সহ আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে  মারধর করে আমার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে এবং আমাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ৩নং বেডে ভর্তি করে। আমার শ্বশুর শাহে আলম হাজী ও আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, আমার শ্বশুর শাহ আলম গাজী বলেন আমার মেয়ে ফাতেমা বেগম, কে তোর সংসারে দেবনা জমির দলিল ও ধারের টাকা চাওয়ায় আমার একমাত্র অপরাধ তাই আমি এখন নিরুপায় আমি প্রশাসনের এর কাছে সুবিচার কামনা করছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শাহে আলম হাজী গংদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।