ভোলা জেলা বিএনপির সমাবেশে নবগঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের বিশাল মিছিল
ভোলা ইলিশায় চলছে ইসমাইল চারুর রাজত্ব।। নিরব প্রশাসন
অভিযুক্ত ইসমাইল।। ছবি ভোলার বাণী

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আতঙ্কের নাম ইসমাইল চারু, ত্রাসের রাজত্ব করলেও মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় এবং পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব করে যাচ্ছে ইসমাইল চারু।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহমেদ এর ছেলে ইসমাইল চারু, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ।
ইসমাইল এর ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না সাধারণ ভুক্তভোগীরা।
মোছলেউদ্দিন ফরাজী বলেন,আমার ছেলের মামা শ্বশুড় এই ইসমাইল, আমার বাড়ীর রাস্তা নিয়ে সমস্যা থাকায়, এই ইসমাইল বলেন, আমার মাধ্যমে বারেক মেম্বার কে ৮ হাজার টাকা দিলে তিনি পথের সমস্যা সমাধান করে দিবে।
ইসমাইল এর কথামত টাকা দিলেও পথের কোন সমাধান হয়নি, আমি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য সবাই কে জানালেও কেউ ডেকে জিজ্ঞেস করেনি ইসমাইল কে।
মোছলেউদ্দিন ফরাজীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদক ইসমাইল চারুর নাম্বারে ফোন দিয়ে টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, মোছলেউদ্দিন এখন বেড়ীরমাথায় আসলে ওরে পিটাইয়া লম্বা করে দিবো, আপনি পারলে আমাকে কিছু কইরেন।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আবদুল বারেক মেম্বার বলেন,বিষয়টি আমাকে মোছলেউদ্দিন ফরাজী জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে এক প্রবীণ আওয়ামীলীগ কর্মী বলেন, জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় এর নির্দেশ যে ভোলায় কোন জুলুমবাজ থাকবে না এবং তার সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভোলার পুলিশ সুপার অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক রেহাই দিচ্ছে না কিন্তু এই ইসমাইল কার ইন্ধনে ৬নং ওয়ার্ডে রাজত্ব করে যাচ্ছেন? ইসমাইল এর মত অপরাধীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় দিন দিন আরো ভয়ংকর অপরাধী হয়ে উঠবেন বলে জানান এলাকাবাসী।
ইলিশা ফাঁড়ির কর্মকর্তা সুজন মাঝি জানান, ইসমাইল খারাপ, পুলিশের নাম ও বিক্রি করে শুনেছি, তার বিরুদ্ধে সু নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।