শেখ হাসিনার জন্য বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও পাকা সড়ক : এমপি জ্যাকব

জলের সাথে আকাশের মিতালী যেথায়। প্রকৃতির এ জল পাড়ায় জোছনা নামে বে-খেয়ালী মনে। জলরাশি আর জোছনার মধু মাখায় এ রূপ যেন ধরেনা। ঢেউয়ে ঢেউয়ে রূপের সে কিরণ উপচে পড়ে। নৈসর্গীক দ্বীপ মানেই সৌন্দর্যের আলোকচ্ছটা, যেথায় দিনে সূর্য আর রাতে জোছনার মেলা, প্রকৃতির এক রাজকন্যা যেন হাতছানি। দিগন্তহীন জলরাশি ভেসে থাকা ছোট বড় গ্রাম, ঠিক যেন সমুদ্র বক্ষে দ্বীপ সমান। দ্বীপের চারপাশে জেলেদের মাছ ধরার নৌকা। পূর্ণিমার জোছনায় রাতে এই দ্বীপের জলাধার মোহনীয় এক রূপের আধার। প্রকৃতির এই রূপ সাগরে আজ সংযোজন নয়া পাকা সড়ক ও বিদ্যুত।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আজ বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও পাকা সড়ক। গ্রামীন জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইতোমধ্যে গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কাজ শুরু করেছে সরকার। কারন, গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
এমপি জ্যাকব সোমবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন নৈসর্গিক দ্বীপ ইউনিয়ন কুকরি মুকরি ইউনিয়নে এক কোটি ১০লক্ষ টাকা ব্যয়ে লঞ্চ ঘাট থেকে কুকরি মুকরি বাজার পাকা সড়ক ও পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে কুকরি মুকরিতে পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ভিত্তি প্রস্থর শেষে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ” বিনির্মাণ করতে হলে গ্রামের মানুষকে কে শহরের মত নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আওয়ামীলীগের ঘোষিত “আমার গ্রাম আমার শহর” প্রতিপাদ্য শ্লোগানকে এগিয়ে নিতে হলে গ্রামের উন্নয়ন করতে হবে। প্রধান মন্ত্রীর দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য।
শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে জেলা-উপজেলার সাথে যোগাযোগ, পাকা সড়ক, সুপেয় পানি, মান সম্মত শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিস্কাসন, গ্রামে কর্মসংস্থান, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা কেন্দ্র বিদ্যুত সরবরাহ ও গ্রাম উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। কুকরি মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম মোর্শেদ, বিভূতি ভূষন বাবুল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।