সর্বশেষঃ

দৌলতখানে টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসলের ক্ষেত

দৌলতখানে টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসলের ক্ষেত। এতে চিন্তায় পড়েছেন অনেক চাষি। বিশেষ করে শীতকালিন সবজি ও পানের বরজের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু বৃষ্টিতে বিনস্ট হয়েছে অনেক রবি শস্য। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈরী-আবহাওয়ায় ও টানা বৃষ্টিতে দৌলতখান উপজেলায় বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পুকুরের মাছ পানের বরজ বসত ঘর ও রবি শস্য পানিতে ডুবে আছে।

বৃষ্টির পানি সরানো না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান একাধিক চাষিরা। এদিকে শ্রমিক সংকটে থাকায় ফসল তুলতে না পেরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান কৃষকরা। এছাড়া এ উপজেলায় ৫৬০ হেক্টর জমির রবি শস্য বৃষ্টির পানিতে আক্রান্ত হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জনালেও চাষীরা বলছেন আরও কয়েকগুন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার পাচঁটি ইউনিয়নের রবি শস্যের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, কোথায় কোথায় প্রবল বর্ষণের কারণে ডুবে আছে ধানসহ রবি শস্য এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক চাষী।

উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কৃষক রুহুল আমিন, বাবুল, শফু ফরাজীসহ বেশ কয়েকজন চাষী জানান, শত শত একর জমিতে ধানসহ রবি শস্যের ফসল ফলাতে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে আমাদের। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের ক্ষেতের ধান, ডাল, মুলা, লাল সাক, লাউ, কুমরা, ধনে পাতা, সিম, শশা, ফুলকপি, বাধা কপিসহ সকল ধরনের রবি শস্যে ব্যাপক নষ্ট হয়ে গেছে।

এতে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে । তাদের ভাষ্যমতে গেছে বছররের টানা বৃষ্টিতে ফলন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখনও তা পুষিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি। এতে হতাশায় রয়েছে দৌলতখানের কৃষকের পরিবার। সরকারি সহযোগিতা না পেলে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে জানান চাষীরা। এ বিষয় দৌলতখান কৃষি বিভাগের (উপ-সহকারি) আব্দুস সামী জানান, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে দৌলতখানে ৫৬০ হেক্টর জমির রবি শস্যের আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে । সরকারি ভাবে সহযোগিতা পেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।