লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ, বিচ্ছিন্ন ভোলার মনপুরা
ভোলার মনপুরায় বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় এবং মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চরনিজামের নিম্নাঞ্চল ২-৩ ফুট জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ভোলা আবাহাওয়া অফিস। গত দুই দিনের টানাবর্ষণে জনজীবনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এছাড়াও বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় উপজেলা পরিষদের মাঠ, স্কুলের মাঠ ও বাড়ির আঙিনায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে মাছের ঘের ও পুকুর ডুবে লাখ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অপরদিকে বৃষ্টির পানি জমে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত থাকায় মনপুরা-তজুমুদ্দিন রুটে চলাচলকারী এমভি রাতুল-১, বেতুয়া-জনতা রুটে চলাচলকারী লঞ্চ, ঢাকা-মনপুরা-হাতিয়ার রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি তাসরিফ ও ফারহান বন্ধ রয়েছে। এতে গত দুই দিন ভোলা জেলা ও রাজধানী ঢাকার সাথে মনপুরার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দ্বীপের দেড় লাখ বাসিন্দা।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়া ও সতর্ক সংকেত থাকায় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।