সর্বশেষঃ

পুলিশের কাছে আসতে কোন মাধ্যম প্রয়োজন নেই –ভোলা সদর সার্কেল মহসিন

“নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে আপনার পুলিশ আপনার পাশে ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ভোলা সদর উপজেলার বিট পুলিশিং সভার আয়োজনে বিট নং ১৩ এর অস্থায়ী কার্যালয় রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সার্কেল এস,পি মহসিন আল ফারুক বলেন পুলিশের কাছে আসতে কোন মাধ্যম লাগেনা। সারা দেশে ধর্ষন নামক মহামারি নিরসনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষথেকে নারীদের কে নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সার্কেল এসপি সামাজিক ব্যাধী যথা মাদক,ধর্ষন, ইভটিজিং,বাল্য বিবাহ,সাইবার ক্রাইম,এসব ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য উপস্থিত সকলের সহায়তা ও সোচ্চার হবার উপদেশ প্রদান করেন।

এসময় ধর্ষনের সংজ্ঞা শির্ষক আলোচনায় বিট নং ১৩ এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শ্রী রতন কুমার শীল বলেন “Rape is a type of sexual assault usually involving sexual intercourse, which is initiated by one or more persons against another person without that person’s consent.” সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কোন মহিলার সম্মতি ব্যতিরেকে তার সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাই হলো ধর্ষণ।

পেনাল কোড দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ‘ধর্ষণ’-কে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা হলো: যদি কোন পুরুষ নিম্নবর্ণিত পাঁচ প্রকারের যে কোন অবস্থায় কোন নারীর সাথে যৌন কর্ম করে তবে সে ব্যক্তি নারী ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে-১. কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা
২. কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া অথবা
৩. কোনো নারীকে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতি দিতে বাধ্য করলে অথবা
৪. নাবালিকা অর্থাৎ ১৬ বছরের কম বয়স্ক শিশু সম্মতি দিলে কিংবা না দিলে (সে যদি নিজ স্ত্রীও হয়) অথবা
৫. কোনো নারীকে বিয়ে না করেই ব্যক্তিটি তার আইনসঙ্গত স্বামী এই বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো পুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে আইনের ভাষায় ধর্ষণ বলা হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, অনুপ্রবেশই নারী ধর্ষণের অপরাধ রূপে ‘গণ্য হবার যোগ্য যৌন সহবাস’ অপরাধের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে

যদি কোনো পুরুষ বিবাহবন্ধন ছাড়া ১৬ বছরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে তার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলক ভাবে তার সম্মতি আদায় করে অথবা ১৬ বছরের কম বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবে।

তিনি আরো বলেন যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মাদক ইয়াবা ট্যাবলেটের বিস্তার রোধ করতে হবে। কেননা এটি প্রচলিত হওয়ার পর থেকেই হঠাত বেড়ে গেছে ধর্ষণের মাত্রা। মাদক দ্রব্য “ইয়াবা”ধর্ষন বৃদ্ধির প্রথম সোপান বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

পরিশেষে শ্রী রতন কুমার শুধু এটাই বলেন, নারী মানে মা, মাটি, মাতৃভূমি, বধু , জায়া, ভগ্নি। তাদের যথাযথ সম্ভ্রম রক্ষার দায়িত্ব আপনার, আমার সবার। আর এই দায়িত্বে অবহেলা করলে তার চরম মূল্য হয়তো এর পরিবার আপনাকে বা আমাকেই দিতে হতে পারে। এসময় রাজাপুর ইউ,পি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজান খাঁন ও সংরক্ষিত মহিলা ইউ,পি সদস্যগন ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।