ভোলায় পুস্টি নিরাপত্তায় মডেল গ্রাম গড়তে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ
মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ভোলায় কোষ্ট গার্ডের মহড়া ও লিপলেট বিতরণ
ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্নে বৃদ্ধি করার জন্য আজ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত ১২ টা থেকে ভোলার ইলিশা নদী থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ১০০ কিলো মিটার ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকায় আগামী ৪ঠা অক্টোবর রাত ১২ পর্যন্ত এ সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরন ও ক্রয়-বিক্রয়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় কোস্টগার্ড দক্ষিন জোন কমান্ডার মঞ্জুর হোসেন এর উপস্থিতিতে আজ ১৪ই অক্টোবর সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটে ইলিশার তালতলি ঘাট এলাকায় মৎস অভিযান সফল করার নিমিত্তে জেলেদের সচেতনতায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কোস্টগার্ড এর পক্ষথেকে উপস্থিত জেলে সাধারণের মাঝে লিপলেট বিতরণ করেন দক্ষিন যোন কমন্ডার মোঃমঞ্জুর হোসেন। অতঃপর কোস্ট গার্ডের নৌযান এইচ,পি বালেশ্বরি ও শিতলক্ষ্যা মেঘনায় ইলিশ শিকারের বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে মহড়া দিয়ে পুণঃরায় তালতলি ঘাটে ফিরে আসেন।
এদিকে বিগত দিনে কোস্টগার্ডের আভিযানিক প্রচারনা ও সচেতনতা সভার সুফল ভোলার বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে জেলে নৌকা ও ট্রলার নদী থেকে উঠে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ট্রলার থেকে ইঞ্জিন খুলে ও মাছ ধরার জাল বস্তা ভরে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
সভায় দক্ষিন যোন কমান্ডার বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় মঙ্গল বার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৪ঠা অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এজন্য আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সতেচনতা মূলক সভা করেছি। আশাকরি এ বছর জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা শতভাগ সঠিকভাবে পালন করবেন।
তিনি আরো জানান ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ২২ দিনের জন্য ভোলার নদীতে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। জেলেরা যাতে এই নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করে এজন্য কোস্টগার্ড অতীতের ন্যায় এ বছরও সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন ২২ দিনের নিষেজ্ঞার সময় জেলেদের সংসার চালাতে যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য তাদের মাঝে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঋণগ্রস্ত জেলেদের কাছ থেকে যাতে ঋণের কিস্তি আদায় না করে সে জন্য সব এনজিও এবং ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংক ও এনজিও যদি এই নির্দেশ না মানে তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।