লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
ভোলার বাপ্তা ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি গঠন নিয়ে চাঙ্গা তৃণমূল
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এবার কে হচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। স্থানীয় হাট বাজার কিংবা চায়ের দোকানে চলছে আলাপ আলোচনা। সম্বাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দলের জন্য বিগত দিনে কার কী অবদান ছিল, কে কতটা ত্যাগ করেছে, বিরোধী দলে থাকতে কোন নেতা কতটা নির্যাতিত হয়েছেন এসব বিষয় যেমন আলোচনা উঠে আসছে তেমনি দল ক্ষমতায় আসার পর কীভাবে সুযোগ সন্ধানীরা দলে ডুকে পড়েছে, দলে ডুকে কে কতটা অন্যায় সুযোগ সুবিধা নিয়ে কামাই রোজগার করেছে এসব বিষয়ে উঠে আসছে। দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দাবি এবারের কমিটিতে যেন কোনভাবেই আগাছা-পরগাছা কিংবা দুধের মাছিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া না হয়। সকলের দাবি দীর্ঘদিন ধরে যারা দলের হয়ে কাজ করেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকেই যেন সভাপতি সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। বিশেষ করে সভাপতির পদে বাহিরাগত কিংবা বিএনপি জামায়াত পরিবারের কাউকে দেখতে চায়না বাপ্তার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বাপ্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমন এর সাথে। তিনি জানান, ছাত্র জীবন থেকে দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই কেটেছে আওয়ামী লীগের সাথে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে টানা ২০ বছর সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিরোধী দলে থাকতে হামলা মামলাসহ বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা তার এবং তার ছেলের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। দীর্ঘ দিন বাড়িঘরে যেতে পারেন নি। পালিয়ে ছিলেন। বাড়িঘর ছেড়েছেন তবুও দল ছাড়েন নি। এবার সভাপতি হতে চান কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিকুর রহমান জানান, দলে ছিলাম, দলে আছি এবং আগামীতেও দলে থাকবো ইনশাআল্লাহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং জননেতা তোফায়েল আহমেদের নির্দেশনা মেনে রাজনীতি করি। সভাপতি হবো কি না এটা দলের হাই কমন্ড সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। দায়িত্ব পেলে অবশ্যই জান পরান দিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাবো।
বাপ্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অপর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বহিরাগত, বিএনপি, জাতীয় পার্টি থেকে আসা এবং বিএনপি জামায়াত পরিবারের যেন কাউকে সভাপতি সম্পাদক করা না হয়। যারা এখন এই পদের জন্য দোড় ঝাঁপ করছে, তদ্বির করছে, লবিং গ্রুপিং করছে তাদের মধ্যে যাচাই বাছাই করে ত্যাগী এবং পরীক্ষিতদেরকেই পদ দেয়া উচিত। কোনভাবেই যেন কাউয়ারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান না পায় দলের হাই কমান্ডের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের এই দাবি।