সর্বশেষঃ

জাকির হোসেন তালুকদারের হাত ধরেই উন্নয়নের রোল মডেল দৌলতখান পৌরসভা

যে দিকেই তাকাই পাকা সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ল্যাম্প বাতি। অন্ধকার নামার সাথে সাথে পুরো এলাকা হয়ে যায় আলোকিত। এমনি চিত্র ভোলার দৌলতখান পৌরসভায়। দৌলতখান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কসহ প্রতিটি বাড়ির আশে পাশের সকল রাস্তা আর সিসি ঢালাই দেয়া হয়েছে। তারই পাশে রয়েছে ল্যাপ লাইট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেস ব্যবস্থা। যা রাত নামার সাথে সাথে আলোকিত হয় পুরো এলাকা।

আবার ওই সব সড়কের পাশে কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে গার্ড ওয়াল, ব্রীজ ও কালভার্ট। অপরদিকে পৌরবাসীকে পানি সাপ্লাই দেয়ার জন্য পানির ট্যাংকিসহ রয়েছে পাইভ লাইন। পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে দৌলতখান পৌরসভা গঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভার লোকসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। দৌলতখান পৌরসভা যেখানে ছিল অনুন্নত,মোটরসাইকেল চলাচল করতেই বেশ বেগ পেতে হতো, সেখানে রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে এখন গাড়ি চলাচল করতে পারে অনায়াসে।

এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অনেক উন্নত। পৌর এলাকাগুলোতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার মানুষ বর্তমান মেয়রের কর্মকান্ডে বেশ সন্তুষ্ট। ২০১৫ সালে দৌলতখানে জাকির হোসের তালুকদার পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুুকুলের হাত-ধরে দৌলতখান পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে রুপান্তড়িত করা হয়।

পাশাপাশি তিনি এই পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়ার পর প্রায় ৭০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন যা এখনও দৃশ্যমাণ রয়েছে। এ বিষয়ে পৌর বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক বছর ধরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এই পৌরসভায়। আগে রাস্তা ঘাটে চলা যেতো না কাদার জন্য। এখন বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সকল সুবিধা পাই। পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার যে ভাবে দৌলতখান পৌরসভায় উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা নজিরবিহীন। তার আমলে প্রত্যেকটি কাজই হয়েছে উন্নতমানের। তিনি পৌরবাসীর জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদারের হাত ধরেই দৌলতখান পৌরসভা সারা দেশের মধ্যে একটা রোল মডেল হবে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার দৈনিক ভোলার বাণীকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়তে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ আসনের সাংসদ সদস্য ভোলা জেলার প্রান পুরুষ জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের আদর্শ এবং নীতির প্রতি আবিচল ও আস্থা রেখে এবং ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল আমাকে এ পৌরসভার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, তিনি যেন পৌরবাসীকে ভালোবাসেন। তাই তিনি পৌরবাসির পাশে আছেন। এ পৌরসভার প্রধান সমস্যা ছিলো জলাবদ্ধতা ও অনুন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুলের নির্দেশে এসব সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে এ জনপদের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে পৌরবাসীকে দৌলতখান পৌরসভাকে উন্নয়নের রোল মডেল উপহার দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য ছিলো আমার। আমি এমপি মুকুলের নির্দেশে সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।
পৌর উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি আরো জানান, পৌরসভার ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে শতভাগ বিদ্যুত, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এলইডি লাইট স্থাপন, ড্রেনেজ, গার্ড ওয়াল, পুল, কালভার্ট, আর সিসি ডালাই সড়ক, পাকা সড়ক, বিভিন্ন পুকুর গুলোতে গণঘাটলা ও গণশৌচাগারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা এখনও দৃশ্যমান। এছাড়াও পরিছন্নতা অভিযান, মশকনিধন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শহরের সৌন্দর্যবর্ধন, মা ও শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিককরণ, ধর্মীয় ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পৌরসেবা দেওয়া, নারীসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মোদ্যোগী করা। দৌলতখান পৌরসভাকে ডিজিটাল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।