সরিষার তেলের ওষুধি গুনাগুন

মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক, ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।

সরিষার তেল শুধুই ত্বকে মালিশ নয়,
এ তেলের ঔষধি ও পুষ্টিগুণে
অনেক রোগ ভালো হয়।
এ তেলে তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,
তেল মালিশ অথবা রান্না
ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করে খাই।
বাজারে নামি দামি সরিষার তেল
মোটেও ভালো নয়,
খাঁটি সরিষার তেল নিজে সরেজমিনে
ঘানিতে সরিষা ভেঙ্গে নিয়ে
তেল বানাতে হয়।
তা না হলে হিতে বিপরীত হওয়ার আছে ভয়,
ব্যবসায়ীদের মানসিকতায় হয়েছ অবক্ষয়,
কেমিক্যাল দিয়ে সরিষার তেল বানানো হয়।
সরিষার তেল ভেষজ প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক,
এ তেল পরিপাকতন্ত্রের হজমকারক।
সম্প্রতি পাওয়া গেছে এক গবেষণায়,
শ্বাসনালী, মূত্রথলি
ও ব্রঙ্কাইটিসের ইনফেকশন কমায়।
সরিষার তেল জীবাণুনাশক,
কিডনির মাধ্যমে জীবাণু পরিষ্কাক।
এই তেল বৃহদান্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমের দুর্বলতা কমায়।
সরিষার তেল অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে,
ত্বক উজ্জ্বল করে,
যদি মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান,
তাহলে সরিষার তেলে নারিকেল তেল মিশান।
দশ মিনিট হালকা মেসেজ করুন,
তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক নরম থাকবে উজ্জল হবে,
ত্বকে কালসিটে পড়া,ডার্ক স্পট,
ট্যান বা পিগমেন্টেশন,
নিয়ে আর করবেন না টেনশন।
বেসন, দই,লেবুর রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশান,
মুখে ঘাড়ে দশ পনের মিনিট লাগিয়ে রাখুন,
তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন,
দাগমুক্ত উজ্জ্বল ত্বকের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
সূর্যের ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট
রশ্মি থেকে সরিষার তেল মাখলে
ত্বককে রক্ষা করে,
তবে বেশি তেল মুখে মাখলে
তেল ধুলোবালি ধরে রাখে,
তাই খেয়াল রাখতে হবে সেই দিকে।
সরিষার তেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল
ও অ্যান্টি ফাংগাল উপাদানে ভরপুর,
তাই এই তেল ব্যবহার করলে
এলার্জি ও র‌্যাশ করে দূর।
ভর্তা জাতীয় খাবারে,
সরিষার তেলের জুড়ি নেই
খাবারের স্বাদ বাড়াতে।
তেল ব্যবহার করে সবাই।
এ তেলে আছে
ক্যালসিয়াম ওমেগা ফ্যাটি এসিড ই ভিটামিন,
বি কমপ্লেক্স ভিটামিন।
সরিষার তেলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল
রোদ করে চুলের অকালপক্কতা,
নিয়মিত ব্যবহারে বন্ধ করে চুল পড়া।
জয়েন্টের ব্যথা হাত থেকে যদি রক্ষা পেতে চান,
সরিষার তেলে আছে এমনই কিছু উপাদান।
যা দ্রুত করে ব্যথার সমাধান,
সরিষার তেলে পরিমাণমতো কর্পূর মিশন,
তেল গরম করে ঠান্ডা করে নিন,
এবার সেই তেল দিয়ে মালিশ করবেন,
নিয়মিত মালিশ করলে খুবই আরাম পাবেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page